শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম সমাদৃত একটা নাম রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম কিংবদন্তি এক ক্রিকেটার। কোচ হিসেবে যিনি আবার পেয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদও। ২২ গজ হোক কিংবা ২২ গজের বাইরে, সমস্ত বিষয়েই রাহুল দ্রাবিড় এক অনন্য ক্রিকেটার।
তাঁর আচার ব্যবহার সবসময়েই বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত। অত্যন্ত শান্ত, ভদ্র, নম্র স্বভাবের রাহুল দ্রাবিড়কেই চিনে এসেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। কয়েকমাস আগেই তাঁর প্রশিক্ষণে টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। তার পরেই জাতীয় দলের হেড কোচের পদ ছাড়েন তিনি।
এর পর তাঁর কাছ একাধিক আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ হওয়ার প্রস্তাব ছিল। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসকেই বেছে নেন। এই বেছে নেওয়ার নেপথ্য কাহিনী শুনলেও রাহুল দ্রাবিড়ের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা বাড়তে বাধ্য। বিভিন্ন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে ‘ব্ল্যাঙ্ক চেকের’ অফার থাকলেও রাজস্থান রয়্যালসের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি সেই সব অফার প্রত্যাখান করে তুলে নিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের দায়িত্ব।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে রাহুল দ্রাবিড় নিজেও খেলেছেন। কোচিং করিয়েছেন। মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। একটা সময়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে তাঁর আইপিএলের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। তিন মরশুম তিনি আরসিবির হয়ে খেলেন। এরপর তিনি যোগ দেন রাজস্থান রয়্যালসে।
অবসর নেওয়ার পরে রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে কোচ হিসেবে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হন। প্রথমে এনসিএ, পরবর্তীতে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল এবং ভারতীয়-এ দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পরে রাজস্থান রয়্যালসের কোচ হওয়ার বিষয়ে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, তিনি অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘ব্ল্যাঙ্ক চেকের’ অফারও ফিরিয়ে দেন।
২০১১ সালের নিলামে যখন আরসিবি দ্রাবিড়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সেই সময়েই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের উপর আস্থা রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই বিষয়টি দ্রাবিড় ভোলেননি। তাই এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি তিনি এতটাই দায়বদ্ধ যে, অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির বড় বড় অফার থাকলেও তিনি তা হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। ২০১৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ২০১৪ সালে তিনি অবসর ঘোষণা করেন। এরপর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর হিসেবে তিনি ফিরে এসেছিলেন।