বহুদিন পর ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে একসঙ্গে এত সংখ্যায় তারকাকে খেলতে দেখা গেছে দলীপ ট্রফিতে। গতবার রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন ভারতীয় দলের তৎকালীন কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং নির্বাচক অজিত আগরকর জানিয়ে দিয়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে। তাতে যেমন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার খেলার মধ্যে থাকবে তেমনই তার সঙ্গে এবং তাঁর বিপক্ষে ক্রিকেট খেলে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে ডোমেস্টিক লেভেলের ক্রিকেটাররা। ফলে ভারতীয় ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নতিতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ঘরোয়া প্রতিযোগিতাং অংশগ্রহণ প্রায় আবশ্যিক করে দিয়েছে বিসিসিআই। এই আবহেই এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্তমান মান নিয়েই বড় বার্তা দিলেন টি২০ বিশ্বকাপজয়ী কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
সদ্য ভারতীয় ক্রিকেট দলকে টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করা রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, আগের থেকে এখন ভারতীয় ক্রিকেটে ঘরোয়া পর্যায়তেও অনেক বেশি লড়াই হয়। আগে এমন অনেক দল ছিল যাদের তেমন ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হত না। কিন্তু এখন দেশে ক্রিকেটের মান এতটাই উন্নতি হয়েছে যে কাউকেই হেলা ফেলা করা চলে না। ফলে দেশে ক্রিকেটারদের সাপ্লাই লাইনেরও কোনও অভাব হচ্ছে না।তবে সব ক্রিকেটারকেই সমান পরিকাঠামো দিতে হবে, বলছেন দ্রাবিড়
রাহুল দ্রাবিড়ের কথায়, ‘এখনকার রঞ্জি ট্রফির মান দেখো। যদি আগেরকার সময় হত, তাহলে সাউথ জোনের হায়দরাবাদ বা তামিলনাড়ুকে বাদ দিলে অনেক দলকেই হাল্কা ভাবে দেখা হত। আমি কোনও দলকে ছোট না করেই বলছি। তবে এখন সাউথ জোনে এমন একটাও দল দেখাতে পারবে না, যাকে কোনও দল বলে বলে হারাতে পারবে। ভারতীয় ডোমেস্টিক ক্রিকেটেও ঠিক এতটাই উন্নতি হয়েছে ’।
আগে অনেক সময়ই বলা হত ক্রিকেট বড় লোকের খেলা, তাই শহরের ছেলেরাই বেশি সুযোগ পায় জাতীয় দলে। তবে গত কয়েক দশকেই সেই চিত্রটা পুরোপুরি বদলে গেছে। সেই নিয়েই ভারতকে টি২০ বিশ্বকাপ জেতানো কোচ বলছেন, ‘ক্লাবগুলোকে শক্তিশালী হতে হবে, কয়েকজনের হাতে ক্রিকেটকে ছেড়ে দিলে হবে না। সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে আর সাম্য বজায় রাখতে হবে যাতে সবাই সমান সুযোগ পায়। প্রতিভাকে দু-এক জায়গায় সিমাবদ্ধ করে রাখলে চলবে না, সবাইকে সুযোগ দিতে তাই সব স্তরের খেলোয়াড়দেরই একইরকম পরিকাঠামো দিতে হবে দেশের সর্ব প্রান্তে ’।