চলতি মহারাজা টি-২০ ট্রফির প্রথম ২ ম্যাচে ব্যাট হাতে বড় রানের মুখ দেখেননি সমিত দ্রাবিড়। ২টি ম্যাচেই ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন তিনি। যদিও বড় শট নেওয়ার দক্ষতা যে রয়েছে, সংক্ষিপ্ত সুযোগেই সেই ইঙ্গিত দেন রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে। এবার টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ম্যাচে জুনিয়র দ্রাবিড় বুঝিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার সব রসদই রয়েছে তাঁর মধ্যে।
রবিবার চিন্নাস্বামীতে টুর্নামেন্টের ৭ নম্বর লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে করুণ নায়ারের নেতৃত্বাধীন মহীশূর ওয়ারিয়র্স ও দেবদূত পাডিক্কালের গুলবার্গা মিষ্টিকস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওয়ারিয়র্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
ক্যাপ্টেন করুণ নায়ার দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৩৫ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়কোচিত ইনিংসে নায়ার ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সমিত দ্রাবিড় ২৪ বলে ৩৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
জগদীশা সূচিত ১৩ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া সুমিত কুমার ১৯ ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ১০ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
গুলবার্গার হয়ে ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মণীশ রেড্ডি, পৃথ্বীরাজ শেখাওয়াত ও যশবর্ধন পরান্তাপ। ১টি করে উইকেট নেন বিজয়কুমার বৈশাক ও শরন। উইকেট পাননি প্রবীণ দুবে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুলবার্গা ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয়। শেষ বলে চার মেরে দলকে জেতান আর স্মরণ। গুলবার্গা ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আর স্মরণ দুরন্ত শতরান করেন। তিনি ৬০ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা। ২১ বলে ৩৭ রান করেন প্রবীণ দুবে। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ২৪ রান করেন কেভি অনীশ। তিনি ৪টি চার মারেন। ক্যাপ্টেন পাডিক্কাল মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ওয়ারিয়র্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন বিদ্যাধর পাতিল ও মনোজ ভান্দাগে। ১টি করে উইকেট নেন অজিত কার্তিক ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন শতরানকারী স্মরণ।