রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই এই ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। রোহিতের জায়গায় জাতীয় টি২০ দলের অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পান্ডিয়াকেই প্রাথমিক ভাবে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ থাকার কারণে, সূর্যকুমার যাদবকে টি২০ দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়। ড্রেসিংরুমের ভোটও সম্ভবত গিয়েছে হার্দিকের বিপক্ষে। এমনটাই মনে হয়েছে, প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের কথায়।
তবে নতুন কোচ গৌতম গম্ভীরের অধীনে প্রথম সিরিজের আগে সূর্যকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র জলঘোলা হয়েছে এবং হচ্ছেও। প্রধান কোচ হিসাবে গম্ভীরের মেয়াদ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ দিয়ে শুরু হবে। প্রথমে ২৭ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। পরে তিন ম্যাচে ওডিআই সিরিজও রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেলিসের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে চলেছে PBKS, খোঁজ চলছে ভারতীয় কোচের- রিপোর্ট
এদিকে হার্দিক পান্ডিয়া কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ে রোহিত শর্মার ডেপুটি হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। যে কারণে অনেকেই মনে করেছিল, তিনি রোহিতের পর টি২০-তে ভারতের অধিনায়ক হবেন। যাইহোক, পান্ডিয়ার ফিটনেস নিয়ে সন্দেহের কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট সূর্যকুমারকে বেছে নেয়। এর মাঝেই ভারতের প্রাক্তন বোলিং কোচ পরশ মামব্রে দাবি করেছেন যে, সূর্যকুমারকে অধিনায়কত্বে উন্নীত করার ধারণাটি বিদায়ী প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সময়েই প্রথম বিবেচনা করা হয়েছিল। আর গম্ভীরের নেতৃত্বে নতুন ম্যানেজমেন্ট সুযোগ পেয়েই এটির বাস্তবায়ন করে।
মামব্রে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘প্রথম এবং সর্বাগ্রে, আপনি যখন একজন অধিনায়ককে বাছাই করছেন, তখন আপনি আশা করবেন, সেই অধিনায়ক নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে সব ম্যাচ খেলবে। আমরা, কোচ এবং নির্বাচকেরা সব সময়ে অনুভব করেছি যে, এখানে এমন একজন রয়েছে, যার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে দীর্ঘ ভবিষ্যত আছে। এবং এই ক্ষেত্রে সূর্যকুমারের স্কিল অতুলনীয়। এই ফর্ম্যাটে ও এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা। সূর্য এবং ক্লাসেন তাদের বর্তমান ফর্মের উপর ভিত্তি করে, এখন টি-টোয়েন্টিতে সেরা। ভারতের হয়ে খেলা জেতার ক্ষেত্রে ও যে বিশুদ্ধ প্রভাব ফেলেছে, তা অসাধারণ।’
আরও পড়ুন: দে দো ভাইয়া ব্যাট… কোহলির পর এবার সূর্যের কাছে আবদার শুরু করলেন রিঙ্কু
প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ড্রেসিংরুমের মধ্যে থেকে ইনপুটগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। মামব্রেও কিন্তু দলের সদস্যদের, বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে সূর্যকুমারের ইতিবাচক সম্পর্কের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ও দলের সঙ্গে থাকে যখন, তখন আমি ওকে তরুণ ছেলেদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে দেখেছি। একদিকে, আমাদের রোহিত এবং বিরাট ছিল, যারা দৃঢ়চেতা ছেলে, এবং তার পরে আমাদের সূর্য আছে, যে অভিজ্ঞ, এবং সম্ভবত তরুণদের খুব কাছেরও। সবার সঙ্গে ওর ভালো সম্পর্ক আছে। পাশাপাশি ওর অভিজ্ঞতাও বেশি। এবং ও একজন স্মার্ট ক্রিকেটার।’