কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে খুব বেশি বোলিং করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি এবং খারাপ আলোর জন্য চা পানের বিরতির মধ্যেই খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। পরিস্থিতি যা তাতে আম্পায়ররা বুঝতেই পারছিলেন, এখানে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত খেলা সম্ভব হবে না। কারণ টানা বৃষ্টি যেমন পড়ছিল, তেমন আকাশের আলোও অনেকটাই কমে এসেছিল। ফলে বাধ্য হয়েই প্রথম দিনের ম্যাচ মাত্প ৩৬ ওভার পরই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা।
প্রথম দিনের মতো আগামী তিন দিনও কানপুরে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ম্যাচের সময়। ফলে রোহিত শর্মাদের ম্যাচ জেতার কাজটা বেশ কঠিনই হতে চলেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই টেস্ট ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে গেলে এই ম্যাচ জিতলে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থাকা যেত। তবে বরুণ দেবতা রুষ্ট হওয়াতেই চাপের মুখে ভারতীয় ক্রিকেট দল। বৃষ্টির যা পূর্বাভাস তাতে ম্যাচের চতুর্থ দিন পর্যন্ত চলবে ঝড় অথবা ঝিরঝিরে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন-ভারত দেশের মাটিতে অপরাজেয়! পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনাই আসে না…অকপটে জানালেন শাকিব…
আগামী চার দিনে কানপুরের আবহাওয়া কেমন?
শুক্রবার অর্থাৎ টেস্টের প্রথম দিনে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সেই মতো বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েই গেছে কানপুরে।
শনিবার অর্থাৎ টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকাল ৬টার পর থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা ১১টা নাগাদ ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টানা মাঝারি থেকে হাল্কা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কানপুরে
রবিবার টেস্টের তৃতীয় দিনেও বদলাচ্ছে না চিত্রটা। সকাল ৯টা-১০টা পর্যন্ত মেঘলা আকাশ থাকার কথা। কিন্তু এরপরই ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সন্ধ্যা পর্যন্ত, ফলে রবিবারও যে পুরো ম্যাচ হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয় তা বলাই বাহুল্য।
সোমবার অর্থাৎ কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে গিয়েও বরুণ দেবতার কৃপা হয়ত ভারতীয় দল পাচ্ছে না, অন্তত সম্ভাবনা তেমনটাই। এইদিনও ভোর ৬টা থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, চলবে প্রায় সন্ধে ৭টা পর্যন্ত।
ম্যাচের শেষদিনে গিয়ে কিছুটা খেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার থাকার কথা,দেখা মিলবে রোদেরও। ফলে সেদিন থেকে ফের বৃষ্টিহীন আকাশ হবে। সেদিন পুরো ওভারই খেলা হতে পারে।
কানপুর টেস্টে ভারতীয় দলের ভাগ্য পুরোটাই নির্ভর করছে আগামী তিন দিনের ওপর। কারণ পঞ্চম দিনে অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকার কথা থাকলেও একদিনে টেস্ট ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। শুক্রবার প্রথম দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৩৬ ওভার, তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭।
আগামী তিন দিনে যদি ভারতীয় দল অন্তত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে জবনিকা টানার পাশাপাশি নিজেরা ব্যাটিং করে বড় রান তুলে ফেলতে পারে, একমাত্র তাহলেই শেষ দিনে গিয়ে বাংলাদেশকে হারানো সম্ভব হতে পারে ভারতীয় বোলারদের কাছে। যদিও কাজটা যে অতটাই সহজ নয়, তা ভালোই জানেন রোহিত শর্মা, গৌতম গম্ভীররা। তাই তাঁরা নিশ্চই চাইবেন আগামী তিন দিনই যেন অল্প বিস্তর খেলা হয়, নাহলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার রাস্তাও হাল্কা হলেও ক্ষীণ হবে।