আরসিবিকে তাদের ঘরের মাঠে ১৯০ রানের কমে আটকে রাখার জন্য দিল্লির বোলারদের কৃতিত্ব প্রাপ্য। তবে রবিবার চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইনিংস আরও কম রানে শেষ হতে পারত। দিল্লির ফিল্ডাররা মোটেও সহযোগিতা করেননি বোলারদের।
একের পর এক সহজ ক্যাচ ছেড়ে আরসিবি ব্যাটারদের রান করার সুযোগ করে দেন অক্ষর প্যাটেলরা। যার ফল ভুগতে হয় ক্যাপিটালসকে। আরসিবির কাছে হেরে খাদের কিনারায় চলে যায় দিল্লি। অথচ জিতলে আইপিএল ২০২৪-এর প্লে-অফের লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেত ক্যাপিটালস।
দিল্লি চলতি মরশুমে তিনটি ম্যাচে স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ায় এক ম্যাচে নির্বাসিত হন ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্ত। তাই তিনি আরসিবির বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে রবিবার দিল্লিকে নেতৃত্ব দিতে নামেন অক্ষর প্যাটেল। চিন্নাস্বামীতে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় অক্ষরকে। তিনি টস জিতে হোম টিম আরসিবিকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান।
আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে। চিন্নাস্বামীতে ২০০ রান তাড়া করে জয় তোলাও খুব কঠিন নয়। তাই দিল্লির সামনে তারা বিরাট টার্গেট ঝুলিয়ে দেয়, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন রজত পতিদার। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
২৯ বলে ৪১ রান করেন উইল জ্যাকস। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৩ বলে ২৭ রান করেন বিরাট কোহলি। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৭ বলে ৬ রান করেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। ৮ বলে ১৩ রান করেন মহীপাল লোমরোর। খাতা খুলতে পারেননি দীনেশ কার্তিক, স্বপ্নিল সিং ও মহম্মদ সিরাজ। করণ শর্মা করেন ৬ রান।
দিল্লির হয়ে ২৩ রানে ২টি উইকেট নেন রসিখ সালাম। খলিল আহমেদ ৩১ রানে ২টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা, মুকেশ কুমার ও কুলদীপ যাদব। উইকেট পাননি অক্ষর প্যাটেল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দিল্লি পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ৫৪ রান তুললেও ৪টি উইকেট হারিয়ে বসে। শুরু থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকায় লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি দিল্লির পক্ষে। তারা ১৯.১ ওভারে ১৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু।
আরও পড়ুন:- রিভার্স সুইপ দেখেছেন, ডাবল-রিভার্স শট দেখেছেন কখনও, বল আটকায় কার সাধ্য!- ভিডিয়ো
দল হারায় ব্যর্থ হয় দিল্লির অস্থায়ী অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেলের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ২৩ বলে ২৯ রান করেন শাই হোপ। ৮ বলে ২১ রান করেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। ১২ বলে ১০ রান করেন রসিখ সালাম। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
আরসিবির যশ দয়াল ২০ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২৩ রানে ২টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন স্বপ্নিল সিং, মহম্মদ সিরাজ ও ক্যামেরন গ্রিন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ক্যামেরন।