গতবছর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ৭টি লিগ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিততে সক্ষম হয় মিজোরাম। একমাত্র মেঘালয় ছাড়া আর কোনও দলকে হারাতে পারেনি তারা। এবছরও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির পরপর ৩টি ম্যাচে যথাক্রমে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও বাংলার কাছে পরাজিত হয়ে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামে মিজোরাম।
অন্যদিকে পঞ্জাব এবছর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে মোটে ১টি জয় পেলেও তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামে। লিগের চতুর্থ ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ছিল নিতান্ত দুর্বল মিজোরাম। তা সত্ত্বেও শুক্রবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচে এমন মারকাটারি লড়াই চলবে, তা আগে থেকে আনুমান করা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না।
শুধু চলতি টুর্নামেন্টেরই নয়, বরং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে অন্যতম বড় অঘটন ঘটানোর উপক্রম করে মিজোরাম। পঞ্জাবকে কার্যত হারিয়েই দিয়েছিল তারা। শেষমেশ ম্যাচ টাই হওয়ায় লড়াই গড়ায় সুপার ওভারে। এক ওভারের টাই-ব্রেকারে পঞ্জাবের পরিত্রাতা হয়ে দেখা দেন কেকেআরের রমনদীপ সিং। সুপার ওভারে জিতে কোনও রকমে মুখরক্ষা করে পঞ্জাব।
পঞ্জাব বনাম মিজোরাম ম্যাচের গতিপ্রকৃতি
রাজকোটে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মিজোরাম। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে। ৩৪ বলে ৫২ রান করেন অগ্নি চোপড়া। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩৪ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহিত জাংরা। তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
পঞ্জাবের বলতেজ সিং ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। অভিষেক শর্মা ২৪ রানে ১টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কেকেআরের মায়াঙ্ক মার্কান্ডে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব ম্যাচের শেষ চার বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে ২৪ রান তুলে ম্যাচ টাই করে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত রানও যোগ হয় পঞ্জাবের খাতায়। অর্থাৎ, তারাও ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানেই আটকে যায়। শেষ ওভারে হরপ্রীত ব্রার ঝড় তুলে পঞ্জাবকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন।
প্রভসিমরন সিং ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ৪১ রান করেন নমন ধীর। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন হরপ্রীত।
সুপার ওভারের ফলাফল
সুপার ওভারে পঞ্জাব শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৫ রান তোলে। ১৪ রান করেন রমনদীপ সিং। মিজোরাম সুপার ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭ রান তোলে। ফলে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে মুখরক্ষা হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। টুর্নামেন্টে এটি পঞ্জাবের দ্বিতীয় জয়। ম্যাচের সেরা হন হরপ্রীত।