কয়েক দিন আগেই এসিসি এমার্জিং এশিয়া কাপে দুরন্ত ইনিংস খেলে সকলের নজরে চলে এসেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে এই বছরে খেলা পঞ্জাবের ক্রিকেটার রমনদীপ সিং। ভারতীয় এ দলের জার্সিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। একটা সময় দেখে মনে হয়েছিল, অসম্ভবকে সম্ভব করেই হয়ত দেখাবেন তিনি।
এবছরের আইপিএলে তেমন সুযোগ না পেলেও, যখনই ব্যাট হাতে নেমেছেন কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। ১৪টা ম্যাচে আইপিএলে করেছেন ১২৫ রান, আর স্ট্রাইক রেট ২০১। সব ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগও পাননি। এছাড়াও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁঁর পারফরমেন্সও ছিল সাড়া জাগানো, সেই সুবাদেই তাঁকে ভারতীয় এ দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ২০০ বছর ভারত শাসন করা ইংরেজদের টেক্কা! দ্য হান্ড্রেডে দল কিনছেন আম্বানি-গোয়েঙ্কা…
এবারের আইপিএলের নিলামের আগে রমনদীপ সিংকে রিটেন করতে চলেছে কেকেআর। আনপ্যাপড প্লেয়ার হিসেবে তাঁকে ৪ কোটি টাকায় রিটেন করতে পারে কলকাতা। নিজের দুরন্ত পারফরমেন্সের পর রমনদীপ সিং জানাচ্ছেন, মেন্টর গৌতম গম্ভীর তাঁকে কীভাবে উন্নতি করতে সাহায্য করেছে নাইট ক্যাম্পে থাকার সময়।
ভারতীয় সিনিয়র দলে সুযোগ রমনদীপের-
প্রসঙ্গত রমনদীপ সিং ভারতীয় সিনিয়র স্কোয়াডেও সুযোগ পেয়েছেন দঃ আফ্রিকা সফরের জন্য। সেখানে টি২০ সিরিজে খেলাতে পারেন তিনি। যদিও গৌতম গম্ভীর সেই সফরে থাকছেন না, কোচ হিসেবে প্রোটিয়াদের ডেরায় দায়িত্ব সামলাবেন এনসিএর দায়িত্বে থাকা ভিভিএস লক্ষ্মণ।
আরও পড়ুন-‘আমরাই জিতিয়েছি ১২ বছর ধরে, তাই একটা হারলে ছাড় আছে’! সিরিজ হারে সাফাই রোহিতের…
গম্ভীর স্যার বলেছিল,উনি পাশে আছেন-
২৭ বছর বয়সী রমনদীপ সিং বলছেন, ‘আমায় গৌতম গম্ভীর বলে দিয়েছিল কেকেআরে, ৭ বা ৮ নম্বরে আমি ব্যাটিং করতে আসব, তাই সেই মতো প্রস্তুতি নিতে। আমাদের দলের মধ্যে একটা প্রস্তুত ম্যাচে ২ বলে ৬ রান বাকি ছিল, সেখানে আমি দলকে জেতানোর পর গৌতম গম্ভীর আমায় বলেছিল, তুমি আমার খুব পছন্দের ক্রিকেটার। আমি তোমার পাশে থাকব সব সময়। তুমি কখনও ভয় পেয়ে খেলবে না ’।
আরও পড়ুন-ফুলেছে পিঠ,বেড়েছে ব্যথা! চোট নিয়েই বিরাটদের মাটি ধরালেন ১৩ উইকেট নেওয়া কিউয়ি স্পিনার…
আমার কাজ ছিল কম বলে বেশি রান করা-
রমনদীপ আরও বলছেন, ‘আইপিএলের আগে মুম্বইতে আমি অভিষেক নায়ারের কাছেও অনুশীলন করেছিলাম। সেখানেই আমায় আমার কাজটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি তখন থেকেই নিজেকে বলেছিলাম, আমায় সবার আকর্ষণ নিতে গেলে বাড়তি কিছু করে দেখাতে হবে। দলে আমার কাজটাই ছিল ম্যাচের ফলাফল বদলে দেওয়ার মতো। কম বল খেলে বেশি রান করতে হবে ’।
রাসেল অনেক কিছু শিখিয়েছে-
কেকেআরের ম্যাচ উইনার রাসেল তাঁকে টিপস দিয়েছিলেন। সেই নিয়ে রমন বলছেন, ‘একজন অলরাউন্ডার হিসেবে আমার আইডল আন্দ্রে রাসেল। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে রাসেল হয়ত সব বল জোরে মারছে, কিন্তু সেটা শুধু নয়। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের বেসিক বা প্রাথমিক যে কাজগুলো, সেগুলো ও মেনে চলে। যেমন মাথা সোজা রাখা, ব্যাট পুরোপুরি ঘোরানো শটের সময়। অর্থাৎ হাফ শট মেরে থেমে না যাওয়া। কেকেআরের অনুশীলনে ৩০ মিনিট ধরে বড় শট খেলার সেশন হত, সেখানে রাসেল আমার সঙ্গেই থাকত। ওকে দেখেই আমি শিখেছি, প্রতিপক্ষ বোলারদের কীভাবে না ভয় পেয়ে খেলা যায় ’।