ঘূর্ণিঝড় দানার জন্য লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অনুষ্টুপ মজুমদারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলা বাংলার রঞ্জি ম্যাচকে পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল সিএবি। এই বিষয়ে বোর্ডের দ্বারস্থও হয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। শোনা যায় নিন্দুকেরা নাকি বলছেন চলতি রঞ্জিতে বাংলা যেহেতু ব্যাকফুটে রয়েছে, তাই দানাকে হাতিয়ার করতে চাইছে বাংলা ক্রিকেট বোর্ড। তবে দানার কথা ভেবেও সিএবির আর্জি মানল না বিসিসিআই।
আসলে দানার প্রভাবে বৃহস্পিবার থেকেই কলকাতায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। আর তেমনটা হলে ২৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা বাংলা-কেরল ম্যাচে সমস্যা তৈরি হতে পারে, সেটা বুঝতে পেরেছে সিএবি। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনে যে সমস্যা হতে পারে তা উল্লেখ করে বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়েছিল সিএবি। কিন্তু বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে চিঠি পাঠিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বোর্ড সিএবি-র কোনও কথাই শোনেনি।
আরও পড়ুন… IPL 2025: এখনও নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি ধোনি! মাহির জন্য শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় CSK
রঞ্জি ট্রফির পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটে বাংলা-রেলওয়েজ ম্যাচও পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বোর্ডকে আর্জি জানিয়েছিল সিএবি। কিন্তু সেখান থেকেও গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। সাইক্লোন দানার প্রভাব যাই হোক না কেন, বোর্ড বাংলা বনাম কেরল ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে যে নেই, সেটা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে। কারণ হিসেবে বিসিসিআই জানিয়েছে, ওই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হলে রঞ্জি ট্রফির বাকি ম্যাচের সূচিতে সমস্যা তৈরি হবে। ফলে রঞ্জি ট্রফি আয়োজনে সমস্য়া হবে। যে কারণে পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই খেলা আয়োজন করতে হবে।
আরও পড়ুন… সেঞ্চুরি করেও বাদ পড়েছিলেন, এখনও ধোনিকে ক্ষমা করতে পারেননি মনোজ?
এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার প্রথম হোম ম্যাচ ছিল কল্যানীতে। প্রতিপক্ষ ছিল বিহার। কল্যানীতে আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টির জেরে চার দিন ম্যাচ শুরু করা যায়নি। এক পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে। এরপর থেকে সিএবির ভূমিকা নিয়ে ময়দানে নানা প্রশ্ন উঠছে। পরিস্থিতি দেখে দানাকে হাতিয়ার করে একপ্রকার ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছিল সিএবি। কিন্তু বোর্ড সিএবির আর্জি খারিজ করায় সেই চেষ্টা ভেস্তে গেল। এমন অবস্থায় বাংলার দলের উপর বড় প্রভাব পড়তে চলেছে।
সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে ম্যাচের সূচি পাল্টানো সম্ভব নয়।’ এরপর থেকেই হতাশা রয়েছে বাংলার ক্রিকেট মহলে। আগেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় কারণে গ্রুপের দুর্বলতম দল বিহারের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করতে হয়েছিল বাংলাকে। শুক্রবার থেকে কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে দুর্যোগের কারণে অন্তত ২ দিনের খেলা নষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।