প্রত্যাবর্তন ম্যাচে মহম্মদ শামির সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বাংলার ব্যাটাররা! কারণ বুধবার রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৬০ ওভারও টিকতে পারল না বাংলা। ৫১.২ ওভারেই রানে অল-আউট হয়ে গেলেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা। তাও শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে অধিনায়ক নিজে না দাঁড়ালে বাংলার অবস্থা আরও শোচনীয় হত। ৮০ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন শাহবাজ। ৪৪ রান করেন অনুষ্টুপ। ১৯ রান করেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। তাছাড়া সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপকুমার ঘরামি, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় এবং ঋদ্ধিমান সাহারা ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আর সেটার মাশুল গুনতে হয়েছে বাংলাকে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আরিয়ান পান্ডে এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়া। যিনি কুলবন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সেও (কেকেআর) ছিলেন।
প্রথম বলেই উইকেট বাংলার!
ওই আরিয়ানই আজ ইন্দোরে বাংলাকে প্রথম ধাক্কাটা দেয়। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান শুভম দে। তারপর দুই সুদীপ মিলে জুটি গড়ে তুললেও তাঁরা বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। বাংলার রান যখন ৩৩, তখন ১০ রান করে আউট হয়ে যান ঘরামি। পরের বলেই আউট হয়ে যান রোহিত কুমার। যা শীঘ্রই ৪২ রানে চার উইকেট এবং ৭৯ রানে পাঁচ উইকেটে হয়ে যায়। সুদীপ ১৫ রান করেন। ১৯ রান করেন ঋত্বিক।
অনুষ্টুপ ও শাহবাজের জুটি কিছুটা মান বাঁচিয়েছে বাংলার
সেই পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলার ইনিংসের হাল ধরেন অনুষ্টুপ এবং শাহবাজ। তাঁদের জুটিতে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে বাংলা। তাঁদের জুটিতে ১২০ বলে ৯৬ রান যুক্ত হয়। কিন্তু ৪১.৩ ওভারে ১৭৫ রানের মাথায় অনুষ্টুপ আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাংলার ইনিংস আর ১০ ওভারও টেকেনি। ওই সময় যতটা রান তোলা যায়, সেই চেষ্টা করেন শাহবাজ। বাকিরা তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। ১২ বলে ১০ রান করেন ঋদ্ধিমান। ২১ বলে ১৯ রান করেন সুরজ। শাহবাজ নিজে করেন ৯২ রান। মারেন ১৬টি চার এবং একটি ছক্কা। শামি দু'রান করেন।
৩৬০ দিন পরে বোলিং শামির
আর তারপরই শামি বল করতে নামেন। ৩৬০ দিন পরে কোনও পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচ বল করলেন। গত বছর ১৯ নভেম্বর একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালের পরে আর কোনও পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বল করেননি শামি। চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। অবশেষে আজ বাংলার হয়ে বল করলেন। প্রথমবার পাঁচটি বল ডট করেন। এক রান দেন।