রঞ্জিতে ট্রফিতে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে একেবারে বিস্ফোরক মেজাজে পাওয়া গিয়েছে নারায়ণ জগদিসানকে। শনিবার শ্রী রামকৃষ্ণ কলেজ মাঠে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনে ৩২১ রানের ধামাকাদার একটি ইনিংস খেলেন। সেই সঙ্গে ২৮ বছর বয়সী ওপেনার আবারও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন।
ডব্লিউভি রমনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন জগদিসান। ১৯৮৮ সালে গোয়ার বিপক্ষে প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ৩১৩ রান করেছিলেন। এটাই এই ফর্ম্যাটে তামিলনাড়ুর প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল। রমনের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন জগদিসান।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি করেই ব্যাট থেকে ধুলো ঝাড়লেন KKR তারকা, টার্গেট কি যশ ধুল?- ভিডিয়ো
তিনি ৪০৩ বলে ৩২১ রান করেছেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২৩টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। আর জগদীসানের ট্রিপল সেঞ্চুরির হাত ধরেই প্রথম ইনিংসে চার উইকেটে ৬১০ রান করে ফেলে তামিলনাড়ু। এর পরেই তারা ইনিংসের সমাপ্ত ঘোষণা করে। এছাড়াও তামিলনাড়ুর প্রদোষ রঞ্জন পাল এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ-ও সেঞ্চুরি হাঁকান। প্রদোষ ১০৫ করেন (১৫১ বল) এবং অপরাজিত করেন ১২৩ রান (১৪৪ বল)। এতে তামিলনাড়ু ৪৯৯ রানের বিশাল লিড পায়।
ম্যাচের পর জগদীসান বলেন, ‘এটা সত্যিই ভালো লাগছে। কিন্তু খেলার সময়ে রেকর্ড নিয়ে ভাবিনি। আমি শৃঙ্খলা বজায় রেখে যেটা করতে চেয়েছি, করেছি। আমার কী করা উচিত, সেটা সম্পর্কে আমি নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম।’
আরও পড়ুন: ম্যাজিকাল বলে অশ্বিন ফেরালেন স্টোকসকে, রেকর্ড এক ডজন বার আউট করলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ককে- ভিডিয়ো
তিনি যোগ করেছেন, ‘লোকেরা যখন পরে বলে, তোমার রেকর্ড হয়েছে, সেটা ভালো লাগে। কিন্তু রেকর্ড মানুষ কাল ভুলে যাবে, অথবা আমি যদি তিন ম্যাচে রান না করি, কেউ এটা নিয়ে ভাববে না। সুতরাং, আমি বর্তমান থাকতে চাই এবং আমি যেমন ছিলাম তেমনই থাকতে চাই। আমি আমার ব্যর্থতা থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যখনই আমরা মাঠে পা রাখি, এটি একটি নতুন দিন, এবং প্রতিটি খেলাকে নিজের শেষ খেলা হিসেবে দেখতে হবে।’
জগদীসান আরও বলেছেন, ‘এই ইনিংসে আমি যে শৃঙ্খলা দেখিয়েছি, সেটা আমার কাছে বড় বিষয়। তবে ট্রিপল সেঞ্চুরি এমন কিছু নয়, যা মানুষ আমার কাছ থেকে কল্পনাও করেনি। আমি এমন একজন ক্রিকেটার,যে শট খেলতে পছন্দ করে। কিন্তু এই ইনিংসটি ছিল আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের মিশ্রণ এবং স্ট্রাইক রোটেশন করে খেলেছি। আমি এমনই একটি দীর্ঘ সময় ধরে ইনিংস খেলতে চেয়েছিলাম, যাতে আমি যখন পিছনে ফিরে তাকাব, তখন যেন নিজেকে বলতে পারি যে, আমি এটি করতে সক্ষম।’