জাতীয় দলে মহম্মদ শামি আগুন ঝড়াচ্ছেন। আর বাংলার হয়ে তাঁর ভাই এখন বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন। শামি উত্তরপ্রদেশের ছেলে হলেও, বাংলার হয়ে খেলেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। শামির ভাই মহম্মদ কাইফ সেই পথেই এগোচ্ছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বাংলা তাদের রঞ্জির দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের মুখোমুখি হয়েছিল। আর শামির ভাই কাইফের দাপটে উত্তরপ্রদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায়। কাইফের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং ইশান পোড়েল। পুরো ২১ ওভারও খেলতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ।
উত্তরপ্রদেশের তিন জন ব্যাটার কোনও মতে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছলেও, অনন্তপক্ষে ১৫ রানও স্পর্শ করতে পারেননি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলার বোলারদের সামনে তাসের ঘরের মতোই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে উত্তরপ্রদেশের ব্যাটিং অর্ডার। ওপেনার করতে নেমেছিলেন আরিয়ান জুয়াল এবং সমর্থ সিং। ১১ বলে ১১ রান করে আরিয়ান জয়সওয়ালের বলে বোল্ড হন। তখন উত্তরপ্রদেশের রান মাত্র ১৫। এর পর প্রিয়ম গর্গ তিনে নেমে মাত্র ৪ রান করে আউট হন। তাঁকে বোল্ড করেন ইশান পোড়েল। এর পর দলের অধিনায়ক নীতীশ রানাকেও বোল্ড করেন ইশানই। ১৮ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নীতীশ। ৩৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আগেই চাপে পড়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। এর পর ২৪ রানের মধ্যে বাকি সাত উইকেট পড়ে। তার মধ্যে চার উইকেটই তুলে নেন কাইফ।
আকাশদীপ নাথ ৭ করে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। সমর্থ ৪১ বলে ১৩ করে আউট হন। সমর্থই উত্তরপ্রদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন। তাঁকে ফেরান কাইফ। বাকিরা তো পুরো তেলের লাইন দিয়েছিলেন। এসেছেন আর সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন। করণ শর্মা (১), সমীর রিজভি (৭), সৌরভ কুমার (২) ভুবনেশ্বর কুমার (২), অঙ্কির রাজপুতরা (০) নিরাশ করেছেন। যশ দয়াল আবার রানের খাতা না খুলেই অপরাজিত থাকেন।
বাংলার কাইফ ৫.৫ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। জয়সওয়াল নেন ৮ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ইশান ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। উত্তরপ্রদেশকে মাত্র ৬০ রানে অলআউট করে বাংলা তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছেন। তাদের লক্ষ্য থাকবে, কানপুরে বড় রানের ইনিংস খেলে উত্তরপ্রদেশকে ফের অলআউট করে ইনিংসে জয় ছিনিয়ে নেওয়া! সেক্ষেত্রে হতো প্রথম ম্যাচ ড্র করার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়বে।