শুক্রবার সকালে যদি দ্রুত শ্রেয়স গোপাল ও অভিনব মনোহর এই জুটি ভাঙতে পারে তাহলে লাভবা হবে বাংলা দল। আসলে রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কর্ণাটককে যতটা সম্ভব কম রানে বেঁধে ফেলাই হবে চ্যালেঞ্জ বাংলা দলের প্রথম ও একমাত্র লক্ষ্য। আসলে এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫১ ওভারে কর্ণাটকের স্কোর ৫ উইকেটে ১৫৫। ৬টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৭৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত অভিনব মনোহর। ৫৫ বলে ২৩ রানে ব্যাট করছেন শ্রেয়স গোপাল।
দ্বিতীয় দিনের শেষে সুরজ ২টি মেডেন-সহ ১৭ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। তিনটি মেডেন-সহ ১৫ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন জলপাইগুড়ির ঋষভ বিবেক। তিনটি মেডেন-সহ ১৫ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন ঈশান পোড়েল।
আরও পড়ুন… ক্রিকেট মাঠে এমন আচরণ মেনে নেব না- আলজারি জোসেফের ব্যবহারে চটেছেন কোচ ড্যারেন স্যামি
ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে বাংলার পকেটে ছিল ৭৮ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৯ রান। তবে দ্বিতীয় দিনে সেভাবে রান এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি বাংলা। দিনের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই বাসুকি কৌশিকের চতুর্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শাহবাজ আহমেদ। এই সময়ে শাহবাজ ১১০ বলে ৫৯ রান করেছিলেন। দলের রান যখন ২৫৪, তখন আউট হন শাহবাজ আহমেদ।
এরপর স্কোরবোর্ডে আর কোনও রান করতে পারেননি ঋদ্ধিমান সাহাও। ২০ বলে ৬ রান করে অভিলাশ শেট্টির দ্বিতীয় শিকার হন ঋদ্ধিমান সাহা। শেষ পর্যন্ত ১০১.৫ ওভারে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। সেই সময়ে স্কোর বোর্ডে বাংলা তুলেছিল ৩০১ রান। আমির গোনি ১৮, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ১৬, ঈশান পোড়েল ৫ রান করেন। অভিষেক ম্যাচে ঋষভ বিবেক ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন… ত্রিপুরায় করতে হবে না, ইডেন রেডি থাকবে, নাইটদের চিঠি লিখে জানাল সিএবি
এই সময়ে বল হাতে কর্ণাটকের বাসুকী কৌশিক ২৫ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন। শ্রেয়স গোপাল ২টি মেডেন-সহ ২৫.৫ ওভারে ৮৭ রানের বিনিময়ে নেন তিন উইকেট। অভিলাশ শেট্টি ২টি উইকেট পেয়েছেন। তিনি ২০ ওভারে ৬২ রান খরচ করেছেন।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি কর্ণাটক। বাংলাকে প্রথম উইকেট তোলার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ষোড়শ ওভার পর্যন্ত। ১৫.৪ ওভারে ৩৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে কর্ণাটকের। কিষাণ বেদারে ৫০ বলে ২৩ রান করে ঈশান পোড়েলের শিকার হন। তিনে নামা সুজয় সাতেরিকে আউট করেন ঋষভ বিবেক।
আরও পড়ুন… বদলে যাচ্ছে কলকাতা ময়দান! বর্তমান কর্তাদের ভূমিকায় চটেছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য
২৫তম ওভারে শেষ বলে অধিনায়ক ময়াঙ্ক আগরওয়াল ১৭ রান করে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান। কর্ণাটকের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৫২ রানে, তৃতীয় উইকেট ৬২ রানে। ২৫.৫ ওভারে ৬৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় কর্ণাটক। মণীশ পাণ্ডে খাতা না খুলেই ঋষভ বিবেকের দ্বিতীয় শিকার হন। ৩৩তম ওভারের শেষ বলে ৯৭ রানে পঞ্চম উইকেট খোয়ায় কর্ণাটক। আর স্মরণ ৩৫ বলে ২৬ রান করে সুরজের দ্বিতীয় শিকার। এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫১ ওভারে কর্ণাটকের স্কোর ৫ উইকেটে ১৫৫ রান। তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলার লক্ষ্য হবে যত তাড়াতাড়ি কর্ণাটকের ইনিংস শেষ করা। তাহলেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করবে বাংলা।