আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে শেষ বলের থ্রিলারে জয় তুলে নেয় জিম্বাবোয়ে। তবে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে আফগানদের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন সিকন্দর রাজারা। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরান রশিদরা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে দেড়শো টপকে লড়াইয়ের রসদ জোগাড় করে নেয়। আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে।
লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন ডারউইশ রসুলি। তিনি ৪২ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। ২৩ বলে ২৮ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ২টি ছক্কা মারেন। ২১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন গুলবদিন নায়েব। তিনি ৩টি চার মারেন।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১১, সেদিকউল্লাহ অটল ১৮, জুবেদ আকবরি ১, মহম্মদ নবি ৪ ও ক্যাপ্টেন রশিদ খান অপরাজিত ৩ রানের যোগদান রাখেন। জিম্বাবোয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ট্রেভর। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রায়ান বার্ল। ব্লেসিং মুজারাবানি ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নিয়েছেন। সিকন্দর রাজা ৩ ওভারে ২৬ রান খরচ করেন। তবে কোনও উইকেট পাননি তিনি।
দাপুটে জয় আফগানিস্তানের
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে নবীন উল হক ও রশিদ খানের সাঁড়াশি আক্রমণে আত্মসমর্পণ করে। তারা ১৭.৪ ওভারে ১০৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৫০ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় আফগানিস্তান।
জিম্বাবোয়ের হয়ে ২৬ বলে ২৭ রান করেন ব্রায়ান বেনেট। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩০ বলে ৩৫ রান করেন ক্যাপ্টেন সিকন্দর রাজা। তিনিও ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১০ বলে ১৩ রান করেন তাশিঙ্গা। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
আফগানিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন নবীন উল হক। ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন আফগান দলনায়ক রশিদ খান। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ফরিদ আহমেদ। ম্যাচের সেরা হন রসুলি।