টি-২০ বিশ্বকাপের দুরন্ত ফর্ম জারি রাখলেন নিকোলাস পুরান। ট্রেন্ট বোল্ট, রশিদ খানরাও রয়েছেন একই রকম আগুনে মেজাজে। যার ফলে মেজর লিগ ক্রিকেটের উদ্বোধনী ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নেয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন এমআই নিউ ইয়র্ক। বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে এমএলসি-র নতুন মরশুমের প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হল এনরিখ ক্লাসেনকে।
মরিসভিলে মেজর লিগ ক্রিকেট ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে এমআই নিউ ইয়র্ক ও সিয়াটেল অরকাস। টস জিতে ক্লাসেনের সিয়াটেলকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান এমআই দলনায়ক কায়রন পোলার্ড। সিয়াটেল কোনও রকমে ১০০ রানের গণ্ডি টপকে অল-আউট হয়ে যায়। ১৯.১ ওভারে ১০৮ রান সংগ্রহ করে অরকাস।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ ক্লাসেন-ডি'কক
সিয়াটেলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৫ রান করেন শুভম রঞ্জনে। ৩১ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ২০ রান করেন হরমীত সিং। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৬ বলে ১২ রান করেন অ্যারন জোনস। তিনি ২টি চার মারেন।
কুইন্টন ডি'কক ৫ রানে আউট হন। ক্যাপ্টেন ক্লাসেনও করেন ৫ রান। ইমদ ওয়াসিম ৩, মাইকেল ব্রেসওয়েল ৫ ও নান্দ্রে বার্গার ৪ রানের যোগদান রাখেন। এমআই নিউ ইয়র্কের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন রশিদ খান। ১১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন কায়রন পোলার্ড। ১টি করে উইকেট নেন এহসান আদিল ও এনরিখ নরকিয়া।
ব্যাট হাতে নিকোলাস পুরানের তাণ্ডব
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এমআই নিউ ইয়র্ক ১৪.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১১১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৩৪ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। নিকোলাস পুরান ৩৭ বলে ৬২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ১২ রান করেন টিম ডেভিড। তিনি ১টি চার মারেন।
রুবেন ক্লিন্টন ৬, মোনাঙ্ক প্যাটেল ৮ ও শায়ান জাহাঙ্গির ৩ রান করে আউট হন। পোলার্ড ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ৮ রান করে নট-আউট থাকেন। সিয়াটেলের হয়ে ৪০ রানে ২টি উইকেট নেন ক্যামেরন গ্যানন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন নিকোলাস পুরান।