আইপিএলে ব্যস্ত ছিলেন বলে এনরিখ ক্লাসেন ও এডেন মার্করামকে দলে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেরা দুই তারকাকে ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে মাঠে নামার ফল ভুগতে হল প্রোটিয়াদের। বিশ্বকাপের আগে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের আগে জোর ধাক্কা খেল প্রোটিয়াদের মনোবল।
টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেবেন এডেন মার্করাম। তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে ব্যস্ত ছিলেন। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। এছাড়া ধ্বংসাত্মক ফর্মে থাকা এনরিখ ক্লাসেনও দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে বিশ্বকাপে নামবেন। সানরাইজার্সের হয়েই আইপিএল খেলছিলেন বলে তাঁকেও ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এই সিরিজে দলে পায়নি প্রোটিয়ারা।
স্বাভাবিকভাবেই দুই তারকার অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি কমে। ক্লাসেন-মার্করাম যেদিন আইপিএল ফাইনালে হারের মুখ দেখেন, ঠিক সেদিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে পরাজিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ২টি ম্যাচ হেরে সিরিজ হার আগেই নিশ্চিত করেছিল তারা। এবার তৃতীয় ম্যাচেও পরাজিত হওয়ায় লজ্জাজনক হোয়াইটওয়াশের মুখে পড়তে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
কিংস্টোনে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান তোলে। লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন দাসেন। তিনি ১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া কুইন্টন ডি'কক ১৯, রায়ান রিকেলটন ১৮, উইয়ান মাল্ডার ৩৬ ও প্যাট্রিক অপরাজিত ১৬ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন ওবেদ ম্যাককয়। ২টি করে উইকেট নেন শামার জোসেফ ও গুড়াকেশ মোতি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১৩.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। সেই সুবাদে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয় ক্যারিবিয়ান দল।
৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৬৯ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন জনসন চার্লস। ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৪ রান করেন ব্রেন্ডন কিং। ২৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কাইল মায়ের্স। তিনি ৪টি ছক্কা মারেন। ম্যাচের সেরা হন চার্লস। সাকুল্যে ৮টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন মোতি।