শুধু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেই নয়, বরং ২০২৪ সালে আগাগোড়া দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেই কারণেই আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়ে গ্যারি সোবার্স ট্রফি জিতে নিয়েছেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনি টেস্টের পর থেকে আর মাঠে নামেননি টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার।
সিডনি টেস্টে বল করার সময় পিঠে টান অনুবভ করেন বুমরাহ। তাঁকে তড়িঘড়ি স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও স্ক্য়ানের রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানা যায়নি। জসপ্রীতকে ভারতীয় নির্বাচকরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা করে দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের স্কোয়াডেও ছিলেন। তবে সরিজ শুরুর দু'দিন আগে তাঁকে ইংল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সুতরাং, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে বুমরাহ মাঠে নামবেন না বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঠে নামতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। জসপ্রীত না খেললে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলের শক্তি কমবে সন্দেহ নেই।
ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়, দাবি শাস্ত্রীর
জসপ্রীত বুমরাহর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সম্ভাবনা নিয়ে আইসিসি রিভিউয়ে নিজেদের মতামত পেশ করেন রবি শাস্ত্রী ও রিকি পন্টিং। শাস্ত্রীর স্পষ্ট দাবি, ঝুঁকি নিয়ে জসপ্রীতকে মাঠে নামানো উচিত হবে না ভারতের। তিনি বলেন, ‘আমার মতে এটা বিরাট ঝুঁকি হয়ে যাবে। সামনে ভারতীয় দলের বড় সব ক্রিকেট সিরিজ রয়েছে। কেরিয়ারের এই পর্যায়ে একটা ম্যাচে বুমরাহকে হঠাৎ মাঠে নামিয়ে সেরাটা আশা করা ঠিক হবে না।’
শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রত্যাশার চাপ থাকবে বিপুল। সবাই ভাবে বুমরাহ এসেই আগুন ঝরাবে। তবে চোট থেকে ফিরে এমনটা মোটেও সহজ নয়।’
যদিও শাস্ত্রী এটা স্পষ্ট স্বীকার করে নেন যে, বুমরাহ খেলতে না পারলে ভারতীয় দল অনেকটাই দুর্বল হবে এবং ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। তাঁর কথায়, ‘বুমরাহ যদি ফিট না হয়, তবে ভারতের (চ্যাম্পিয়ন হওয়ার) সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৩৫ শাতাংশ কমবে। ফুল ফিট বুমরাহ দলে থাকলে ডেথ ওভারে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।’
আরও পড়ুন:- MI Enter Final: দীনেশ কার্তিকদের রয়্যালসকে হারিয়ে SA20-র ফাইনালে দু'বারের লাস্টবয় এমআই
স্পটলাইট থাকবে শামির দিকে
রিকি পন্টিং মনে করছেন যে, বুমরাহ ফিট না হলে স্পটলাইট থাকবে মহম্মদ শামির দিকে। শামি ২০২৩ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর থেকে চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। শেষমেশ তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে জাতীয় দলে কামব্যাক করেন।
পন্টিং বলেন, ‘ভারতকে নিয়ে আমার দুশ্চিন্তা ছিল অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়। শামি ব্যাকআপ হিসেবে না থাকায় বুমরাহর উপর চাপ পড়বে জানতাম। সম্ভবত ঠিক সেটাই ঘটেছে। শামি না থাকায় বাড়তি চাপ নিতে গিয়েই চোট পেয়েছে বুমরাহ। সুতরাং, (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে) শামি যদি ফিট থাকে, তাহলে চাপ নেই।’