আরও একবার অপ্রত্যাশিতভাবেই আইসিসি ওডিআই ইভেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেছে ২০১৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইয়ন মরগ্যানের দলের থেকে এই দলে হয়ত কিছু পরিবর্তন এসেছে বটে, তবে তাই বলে টানা আইসিসি টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হওয়ারও কথা নয়। কোথাও গিয়ে যেন ক্রিকেটের কুলিন দেশই, আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার কাছে নতি স্বীকার করেছে।
ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু সেটা তাঁরা করতে পারেনি। আর সেই সুযোগেই নিজেদের স্কোর নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩২৫ রানে নিয়ে চলে যায় ইব্রাহিম জাদরানরা। ইব্রাহিমের কথা নতুন করে বলার নেই, তাঁর ১৭৭ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংসের কথা সকলেই জেনে গেছেন।
এরপর ইংল্যান্ডের হাতে নাগালে যেতে বসা ম্যাচেই মোড় ঘুরিয়ে দেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। তিনি ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষ পাঁচ ওভারে খেলা আফগানিস্তানের পক্ষে নিয়ে আসেন। সেই সুবাদেই তাঁরা ৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় এবং ওডিআই বিশ্বকাপের পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল। অর্থাৎ আগেরবারের জয়টা যে নেহাত অঘটন ছিল না, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা।
ম্যাচের শতরান করেও ইংল্যান্ডের পরাজয় আটকাতে পারেননি জো রুট। যা দেখে রবি শাস্ত্রী দাওয়াই দিয়েছেন ইংরেজদের। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আফগানিস্তান! ইউ গায়েজ রকড। কামাল কারদি। ইংল্যান্ডের জন্য বলতে চাইব, এবার থেকে উপমহাদেশে খেলাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করো কোনও বাহানা না দিয়ে। একমাত্র তাহলেই তোমরা সাফল্য পাবে ’।
আরও পড়ুন-নিউক্যাসেলকে উড়িয়ে EPL শীর্ষে রইল লিভারপুল! হটস্পার্স বধ সিটির, জিতল ম্যান ইউ! আটকে গেল আর্সেনাল
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেন ভনও নিদের দেশের খেলায় একদমই খুশি নন। তিনি বলছেন, ‘দুর্দান্ত খেলেছে আফগানিস্তান। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। শেষ কয়েক বছরে সাদা বলে ইংল্যান্ড একদমই ভালো খেলতে পারেনি। এইরকম মাঠে, পরিবেশে এই ধরণের ফলাফল মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। ’