বল হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে ব্যাট হাতে বড় মঞ্চে জ্বলে উঠলেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা স্পিনার। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম ধারাবাহিক দল চিপক সুপার গিল্লিসকে ছিটকে দিয়ে চলতি তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিল অশ্বিনের ডিন্ডিগুল ড্রাগনস।
বুধবার এনপিআর কলেজ গ্রাউন্ডে টিএনপিএল ২০২৪-এর এলিমিনেটর ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে চিপক সুপার গিল্লিস ও ডিন্ডিগুল ড্রাগনস। টস জিতে চিপককে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান ডিন্ডিগুলের ক্যাপ্টেন অশ্বিন। চিপক নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে।
অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন বাবা অপরাজিত। তিনি ৫৪ বলে ৭২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। নারায়ণ জগদীশান করেন ১৬ বলে ২৫ রান। তিনি ৪টি চার মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ১৯ রান করেন প্রদোষরঞ্জন পাল। শেষ বেলায় ৯ বলে ২২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অভিষেক তানওয়ার। তিনি ৩টি ছক্কা মারেন।
ডিন্ডিগুলের হয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। বিগনেশ ও সুবোধ ভাটি ১টি করে উইকেট দখল করেন। অশ্বিন ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করেও উইকেট পাননি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ডিন্ডিগুল ড্রাগনস ১৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে ডিন্ডিগুল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৫ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
শিবম সিং ৪৯ বলে ৬৪ রান করে আউট হন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি বাবা ইন্দ্রজিৎ। শরৎ কুমার ১২ রান করেন। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন সুবোধ ভাটি। চিপকের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাহিল শাহ ও প্রেম কুমার। ১টি উইকেট নেন অভিষেক তানওয়ার।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শুক্রবার ডিন্ডিগুল ড্রাগনস দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাঠে নামবে তিরুপুর তামিলান্সের বিরুদ্ধে।