ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে ভারতীয় দল পঞ্চম দিনে সাত উইকেটে জিতেছে এবং এই সিরিজে ক্লিন সুইপ করতেও সফল হয়েছে ভারত। এই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ব্যাট এবং বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি আবারও বল হাতে জাদু দেখাতে সক্ষম হন। সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য অশ্বিন প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজের পুরস্কার জিতেছেন। তিনি এখন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি খেলোয়াড় মুথাইয়া মুরলিধরনের সঙ্গে যৌথ প্রথম স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন… IND vs BAN: ৫২ ওভারে ৩৮৩, প্রতি ওভারে ৭ এর উপর রান! টেস্টে নতুন ইতিহাস লিখল রোহিত শর্মার ভারত
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১১তম বারের জন্য সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ব্যাট হাতে মোট ১১৪ রান করেছিলেন, তিনি বোলিংয়ে মোট ১১টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। কানপুর টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২ উইকেট নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিতে সফল হয়েছিলেন। এই সিরিজে তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য তিনি যখন প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজের পুরস্কার পান, এটি ছিল তার টেস্ট কেরিয়ারের ১১তম প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ পুরস্কার। এর মাধ্যমে কিংবদন্তি বোলার মুথাইয়া মুরলিধরনের রেকর্ডের সমান করলেন অশ্বিন। যেখানে অশ্বিন ৩৯টি টেস্ট সিরিজ খেলে ১১ তম বারের মতো এই পুরস্কার জিতেছেন, সেখানে মুথাইয়া মুরলিধরন ৬০টি সিরিজ খেলে ১১ বার সিরিজের সেরা পুরস্কার জিততে সফল হয়েছিলেন।
সিরিজের সেরা হয়ে কী বললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন?
রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হওয়ার পরে বলেন, ‘এই ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। WTC এর প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্য এই ম্যাচটা জেতা আমাদের কাছে বিশাল বিষয়। গতকাল যখন আমরা তাদের বোল্ড আউট করেছিলাম, তখন লাঞ্চের একটু পরেই রোহিত আমাদের একটা কথা বলেছিলেন। আসলে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে বাংলাদেশের সমস্ত উইকেট নেওয়ার জন্য আমাদের ৮০ ওভার বল করা দরকার।’
এরপরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, ‘রোহিত শর্মা আমাদের বলেছিলেন, আমরা ২৩০ রানে আউট হয়ে গেলেও কোনও ব্যপার নয়। তিনি প্রথম বলটি যেভাবে খেলেছিলেন তার সঙ্গে তিনি ম্য়াচের সুর সেট করেছিলেন। তিনি আমায় বলেছিলেন, আপনি পুরানো বলের চেয়ে নতুন বলে বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারেন। আপনি যত বেশি ওভারস্পিন করবেন, এই পিচে এটি আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এর কারণ বলটি পিচ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে না। আমি নিজের ছন্দে বল করতে পেরে বেশ খুশি। আমি বলের উপর যে রেভগুলি রেখেছি তা অবমূল্যায়ন করা যায় না।’