বিশ্বক্রিকেটে শেষ কয়েক বছর ধরেই টানা চলে আসছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। অর্থাৎ আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মূলত রিভিউ করার ক্ষেত্রেই এই ডিআরএস সাধারণত নিয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। ফিল্ডিং দল বা ব্যাটিং দল ডিআরএস নেয় এলবিডাব্লু অথবা ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হয়। এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, আইপিএলে বেশ কয়েক বছর ধরে লাগু হলেও এখনও ভারতীয় ক্রিকেটের ডোমেস্টিক সার্কিটে লাগু হয়নি। অর্থাৎ ঘরোয়া ক্রিকেটে এই নিয়ম এখনও আসেনি।
যদিও চলতি দলীপ ট্রফি বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ডিআরএস রাখা হয়েছে। এবার এই পদ্ধতিকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উন্নতিতে কাজে লাগানোর জন্যই বড় বার্তা দিলেন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্রেফ আউট নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্যই নয় ডিআরএসের যে আরও তাৎপর্য রয়েছে ক্রিকেটে, সেটাই বলতে চেয়েছেন অশ্বিন।
চলতি ইন্ডিয়া সি বনাম ইন্ডিয়া ডি দলের খেলা চলাকালীন ব্যাটার রিকি ভুই ডিআরএসের সিদ্ধান্তে আউট হন। প্রথমে মানব সুতারের বলে এলবিডাব্লু-এর আবেদনে আম্পায়ার কর্ণপাত করেননি, কিন্তু ডিআরএসে দেখা যায় বল উইকেটে লাগতে চলেছে। এক্ষেত্রে ক্রিজ থেকে পা কিছুটা বের করে রাখলেও ডিআরএসের পদ্ধতি অনুযায়ী তিনি আউট হন। সেই চিত্র তুলে ধরেই ডিআরএসের হয়ে সওয়াল করেছেন অ্যাশ।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হাড়ভাঙা খাটুনি রোহিতের! দেখে মনে হবে না বয়স ৩৭!
রিকি ভুইয়ের আউটের সময়ের ছবি তুলে ধরে অশ্বিন লিখেছেন, ‘ডিআরএস শুধুমাত্র ডোমেস্টিক ক্রিকেটে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য নয়। রিকি ভুইয়ের আগের দিনের আউটের সিদ্ধান্ত একটা উদাহারণ, ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে এমন আউট দেওয়া হয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্য প্রতিযোগিতা হলে ১০ বারের মধ্যে ১০ বারই নটআউট হত ব্যাটার। এটা ডিআরএসের আগে কোনও ভুল ছিল না, কিন্তু ডিআরএস পদ্ধতি বিশ্বক্রিকেটে চলে আসার পর এই সিদ্ধান্ত এখন সঠিক নয়(অর্থাৎ ক্রিজের বাইরে বল পায়ে লাগালে ব্যাটারকে নটআউট দেওয়া)। আগে ব্যাটাদের নটআউট দেওয়া হত, যদি ফ্রন্টফুট বলে লাগাতে পারত। কিন্তু এখন ব্যাট পিছনে রাখলে সেটা বড় ভুল হতে পারে’।
রিকির ঘটনা থেকে কীভাবে আগামীর ক্রিকেটারদের শিক্ষা নেওয়া উচিত তা বলতে গিয়ে অশ্বিন বলছেন, ‘আন্তর্তাজিক ক্রিকেটে ব্যাটের আগে পা রাখার সিদ্ধান্ত খুব ভয়ঙ্কর হতে পারে। রিকির মতো কেউ যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামে কালকের মতো অভিজ্ঞতা ছাড়া তাহলে তো তাঁর গোটা টেস্ট সিরিজ কেটে যাবে বুঝতে বুঝতে যে ঠিক করণীয়, আর সেটা করতে করতে কেরিয়ারই শেষ হয়ে যাবে। তাই ডিএরএস শুধু আউটের জন্য নয়, অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ ’। ২০১৯-২০ মরশুমে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস পদ্ধতি চালু হলেও সব ম্যাচে তা রাখা হয়না। রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনাল, ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে তা সচরাচর রাখা হয়।