২০২১ সালে ১৯ জানুয়ারি দুপুর বেলায় ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের সকলেরই নজর ছিল টিভির পর্দায়। গাব্বায় চলছিল ভারত-বনাম অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টেস্ট। সেই সিরিজেই প্রথম টেস্টে অ্যাডিলেড ওভালে মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গেছিল ভারত, লজ্জার হার স্বীকার করতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই টিম পেইনের দলের বিপক্ষে কামব্য়াক করে ভারত। আর সুযোগই দেয়নি অজিদের সিরিজে ফেরার। দ্বিতীয় টেস্ট ভারতীয় দল জিতে নিলে সিরিজে সমতা ফিরিছিল।
আরও পড়ুন-প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ, তাই মন খারাপ নীরজের! বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা মনু ভাকেরর…
এরপর তৃতীয় টেস্ট ড্র হয়ে যায়, চতুর্থ টেস্টে শুভমন গিল, ঋষভ পন্থদের দুরন্ত পারফর্মেন্সের সৌজন্যে অজিদের ডেরায় গিয়ে দাদাগিড়ি করে আসে বিরাট-বুমরাহ-শামিহীন ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে দলকে ম্যাচ এবং সিরিজ জিতেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। সেই সিরিজের স্মৃতি এখনও টাটকা ভারতের হয়ে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মালিক রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ৩৬ রানে অলআউটের পর ঠিক কিভাবে দলের মনোবল ফিরিয়ে এনেছিলেন তৎকালীন কোচ রবি শাস্ত্রী, তাই জানালেন অশ্বিন।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- কপাল খারাপ কাকে বলে…নিজের দোষেই রানআউট যশ দুবে! উপস্থিত বুদ্ধি দেখালেন মুলানি…
বরাবরই আনন্দ উচ্ছাস পছন্দ করেন কোচ রবি শাস্ত্রী। প্রথম টেস্টে অজিদের বিরুদ্ধে হারের পরও তাই ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত চাপে পড়তে দেননি তিনি। কারণ অজিদের ডেরায় একবার যদি কোনও দলের মধ্যে ভয় ঢুকে যায় তাহলে সেখান থেকে বেরনো কঠিন। তাই ক্রিকেটার মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা রাখতে ৩৬ রানে অলআউটের দিন রাতেই মিউজিক চালিয়ে নিজের গলায় গান ধরেছিলেন রবি শাস্ত্রী, জানাচ্ছেন সেই সিরিজে দলের সঙ্গে থাকা অশ্বিন।
আরও পড়ুন-‘পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসে ফুটছে’!ছোট করে না দেখার পরামর্শ সানির…
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলছেন, ‘আমরা সেই সময় একদমই সিরিজ জয়ের কথা ভাবছিলাম না, কারণ গোটা দলেরই মনোবল তলানিতে ছিল। কিন্তু বিকেলে রবি শাস্ত্রী আমাদের জন্য একটা ডিনারের আয়োজন করে আর সেখানে ও নিজেও গান গাইতে শুরু করে। এরপর ওকে দেখাদেখি কারাওকের সুরে সুরে অন্যান্যরাও গান করা শুরু করে। সেই ম্যাচের পর বিরাট কোহলি দল ছাড়ছিল তাই আমাদের মানসিক দিক থেকে ভালো জায়গায় থাকতে হত, যাতে মেলবোর্নে গিয়ে পরের ম্যাচে জিততে পারি। আমরা তাই এরপর গোটা সিরিজের কথা না ভেবে, ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনোর চিন্তাভাবনা করেছিলাম’।