২০২৪ আইপিএল প্লে-অফের জন্য তিনটি দল ইতিমধ্যে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছে। আর একটি জায়গার জন্য লড়াই রয়েছে দুই দলের মধ্যে- চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে। শনিবার (১৮ মে) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। এই ম্য়াচের দিকে সকলের নজর থাকবে। এই ম্যাচের ফলাফলের উপরেই নির্ধারিত হবে চতুর্থ দল হিসেবে কারা প্লে-অফে জায়গা পাক করবে।
এই ম্যাচে দুই বড় তারকা প্লেয়ার- মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলিকে ফের একসঙ্গে খেলতে দেখা যাবে। তবে তারা খেলবে বিপক্ষ দলে। আর এই ম্যাচ খেলতে নামার আগেই, ধোনির অবসর নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি দাবি করেছেন যে, ভক্তরা হয়তো তাঁকে এবং ধোনিকে শেষ বারের মতো একসঙ্গে ২২ গজে খেলতে দেখবেন।
শেষ বার হয়তো মাহি ভাইয়ের সঙ্গে খেলছি
বিরাট কোহলি জিয়ো সিনেমায় দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, ‘ধোনিকে ভারতে খেলতে দেখা ভক্তদের জন্য একটি বড় বিষয়। মাহি ভাই এবং আমি আবার একসঙ্গে খেলব এবং সম্ভবত শেষ বারের মতো এই ঘটনাটি ঘটতে চলেছে। হয়তো এটাই ভক্তদের কাছে একটি বড় মুহূর্ত হতে চলেছে। যদিও আপনি কিছুই বলতে পারেন না। আমাদের কিছু দুর্দান্ত স্মৃতি রয়েছে এবং আমাদের একসঙ্গে খেলতে দেখা ভক্তদের জন্য একটি বড় মুহূর্ত হবে। মাহি ভাই দলের জন্য কত ম্যাচ শেষ পর্যন্ত থেকে জিতিয়েছে, তা সকলেই জানেন। ভারতীয় দলের সঙ্গে খেলার সময় আমাদের পার্টনারশিপ খুব ভালো ছিল। তবে এটাও বলব যে, এই মরশুম শুরু হওয়ার আগেও, ধোনির আইপিএলের শেষ মরশুম হতে পারে বলে অবিরাম আলোচনা চলছিল।’
আরও পড়ুন: সব দলে বুমরাহ বা রশিদ নেই- ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে রোহিতের সুরে সুর মেলালেন কোহলি
ধোনিকে নিয়েও সমালোচনা হত
আইপিএলের ১৭তম মরশুমে, কোহলিকেও তাঁর স্ট্রাইক রেটের কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কোহলি এই প্রসঙ্গেও ধোনির উদাহরণ টেনেছেন। বলেছেন, ধোনির মতো দুর্দান্ত একজন ফিনিশারকেও স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। কোহলির দাবি, ‘বাইরের লোক কে কী বলছে. তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আমি জানি, মাঠে আমি কী করতে পারি। আমি কী ধরনের ব্যাটসম্যান এবং আমার সামর্থ্য কী, তা বলার জন্য কারও দরকার নেই। আমি কখনও-ই কাউকে জিজ্ঞেস করিনি, কী ভাবে ম্যাচ জিততে হয়, আমি মাঠে ব্যর্থ হওয়ার পরে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই সমস্ত জিনিস শিখেছি।’
সঙ্গে তিনি এও যোগ করেছেন, ‘মাহি ভাই সম্পর্কে একই কথা (স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনা) বলা হত। কেন মাহি ভাই ২০ বা ৫০তম ওভার পর্যন্ত খেলা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন? কিন্তু ভারতের হয়ে ও কত ম্যাচ জিতিয়েছে। ও সম্ভবত একমাত্র ব্যক্তি, যে জানে কী করতে চলেছে! ওর নিজের উপর সেই আত্মবিশ্বাস আছে। ও জানে যে, শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ গেলে, ও জিতিয়ে দেবে।’