শেষ ওভারের প্রথম বলে ধোনির ব্যাট থেকে ১১০ মিটারের ছক্কা লাগতেই আরসিবি সমর্থকদের মুখ ছোট হয়ে গিয়েছিল। তবে এর পরে ৫টি অসাধারণ বল করে গোটা একটি শহরকে রীতিমতো উন্মাদনার সাগরে ভাসিয়ে দেন '৫ ছক্কা' খাওয়া যশ দয়াল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিদের আবেগ ক্যামেরায় ভেসে ওঠে। তবে এরপরই অনেকেই টিভি বন্ধ করে দিয়ে ঘুমোতে চলে যান। তবে মাঠে যে সব দর্শকরা খেলা দেখতে গিয়েছিলেন, তাদের জন্যে যেন 'পার্টি' সবে শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রাত দেড়টার সময়তে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে আরসিবি সমর্থকদের ভিড় ছিল। একটাও আইপিএল না জেতা এই দলের সমর্থকদের আনুগত্য এমনিতেই বহুল আলোচিত। তবে গতরাতে আরসিবি প্লে অফের টিকিট পাওয়ার পর যেন উন্মাদনায় ভাসেন হাতার হাজার আরসিবি সমর্থক।
এই নিয়ে নবমবার আরসিবি আইপিএলের প্লে অফে গেল। এর আগে আরসিবি আইপিএল ফাইনালও খেলেছে। তবে জয় অধরাই থেকেছে। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও আরসিবি সমর্থকরা কাপ জেতার বিষয়ে আশাবাদী ছিল। বিশেষ করে আরসিবির মহিলা দল ডাব্লুপিএল জেতায়, পুরুষদের নিয়ে আশা যেন আরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল। তবে আইপিএলের প্রথম ৮টি ম্যাচে আরসিবি জেতে মাত্র ১টিতে। সেখান থেকে তাগের প্লে অফে যাওয়ার আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল বলেই ধরে নিয়েছিল অধিকাংশ। তবে তাও দলের প্রতি আনুগত্য ছাড়েনি আরসিবি সমর্থকতা। সেই আনুগত্যেরই যেন ফল মিলল গতকাল।
পরপর ৬টি ম্যাচে জিতে আইপিএল প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি, দীনেশ কার্তিকরা। এই 'প্রায় অসম্ভব' বাস্তবে পরিণত হতেই খুশির বাঁধ ভেঙে যায় আরসিবি সমর্থকদের। এই আবহে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় নেমে আসেন আরসিবি সমর্থকরা। দলের বাস যেখান দিয়ে গিয়েছে, সেখানেই দুই ধারে আরসিবির সমর্থকদের দেখা গিয়েছে। অন্যদিকের লেনে ততক্ষণে কয়েক কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন। তবে সেই যানজট নিয়ে কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। এদিকে খুশিতে আত্মহারা আরসিবি সমর্থকদের সামলাতে নাজেহাল অবস্থা পুলিশকর্মীদের। বারবার ব্যাটন উঁচিয়ে তাদের ভয় দেখাতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। তবে কোনও পুলিশি ব্যাটনের ভয় যেন আরসিবি সমর্থকদের দমাতে পারেনি। আরসিবির তরফ থেকেও সমর্থকদের এই উন্মাদনা তুলে ধরে ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা, 'রাত দেড়টা বাজে। আর তাই এটা (দর্শকদের উন্মাদনা) এত বেশি দুর্দান্ত। আমাদের সমর্থকরা বিশ্বসেরা। আর আমরা তা নিয়ে গর্বিত।'