বুধবার ২০২৪ আইপিএলের এলিমিনেটরে রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারালেও, সন্তুষ্ট নন রাজস্থান রয়্যালসের অদিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, দলের সকলে তাদের একশো শতাংশ দিতে পারেনি। তবে আরসিবি-কে ৪ উইকেটে হারানোটা নতুন করে দলের গতি ফেরাতে সাহায্য করেছে।
কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের
লিগ পর্ব রাজস্থান শেষ চারটি ম্যাচ টানা হেরে বসে থাকে। যার ফলে তারা পয়েন্ট টেবলের তিনে শেষ করে এবং এলিমিনেটর খেলতে হয়। আরসিবি-কে হারানোর পর সঞ্জু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘ক্রিকেট এবং জীবন আমাদের যা শিখিয়েছে, তা হল কিছু দুর্দান্ত দিন থাকবে। আবার কিছু খারাপ দিনও থাকবে। তবে বাউন্স ব্যাক করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, বোলিং করেছি এবং ফিল্ডিং করেছি, আমি সত্যিই খুশি। সমস্ত কৃতিত্ব খেলোয়াড়দেরই দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: T20 World Cup-এ বিরাটকে দিয়ে ওপেন করানোটা বেশ ঝুঁকির হবে- দাবি কোহলির প্রাণের বন্ধু ডি'ভিলিয়ার্সের
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘অশ্বিন এবং আবেশ অসাধারণ বোলিং করেছে। আপনি যদি আমাদের ব্যাটিং ইউনিট দেখেন, সেখানে অনেক তরুণ প্লেয়ার রয়েছে। তাদের বয়স ২২ বছরের মতো। কম অভিজ্ঞ রয়েছে তাদের। কিন্তু তারা ভালো খেলেছে। সাঙ্গা (কোচ কুমার সাঙ্গাকারা) এবং সাপোর্ট স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানাব, ওরা নিখুঁত ভাবে পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছিল। যেটা আমরা কাজে লাগিয়েছি।’
দলের অনেকেই অসুস্থ
সঞ্জু স্যামসন জানিয়েছেন যে, দলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে রয়েছেন অনেকেই। তাই তাঁরা একশো শতাংশ দিতে পারেননি। আরআর অধিনায়কের দাবি, ‘আমাদের দলের মধ্যে কয়েক জন অসুস্থতার কারণে ১০০% দিতে পারেনি। আমি নিজেই ১০০% দিতে পারিনি। ড্রেসিং রুমের অনেকেই অসুস্থ। সর্দি-কাশি হয়েছে। কিন্তু আমরা গতি ফিরে পেয়েছি। এখন তাই ড্রেসিংরুমের সকলে আত্মবিশ্বাসী।’
অশ্বিন কী বললেন?
ম্যাচের সেরা হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আবার বলেছেন, ‘বাটলার দেশে ফিরে গিয়েছে। হেতমায়েরের চোট রয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছিল, যে কোনও মূল্যে এই রানটা করতেই হবে। না হলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যাবে। প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’
নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে অশ্বিনের মূল্যায়ন, ‘পেটের পেশিতে ব্যথার কারণে আইপিএলের প্রথম পর্বে তেমন ভালো বোলিং করতে পারিনি। আসলে টেস্ট ক্রিকেট খেলে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে লড়াই করতে হলে শরীরকে সেই মতো তৈরি করে নিতে হয়। আমি তাই সময় নিয়েই বেশ কয়েকটি ম্যাচে কম বোলিং করেছি। এখন সমস্যা নেই।’
আরও পড়ুন: BCCI-এর প্রস্তাবের কথা স্বীকার করলেও, আগ্রহী নন পন্টিং, ভারতের কোচ হতে অরাজি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
এলিমিনেটরে টস জেতে রাজস্থান রয়্যালস। এবং প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি সঞ্জু স্যামসন। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর, আরসিবি-কে তাদের ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যাট হাতে কোনও তারকাই আহামরি পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ২৪ বলে ৩৩ করেন বিরাট, ফ্যাফ করেন ১৪ বলে ১৭ রান। ২১ বলে ২৭ করে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন। সর্বোচ্চ ৩৪ রান (২২ বলে) করেন রজত পাতিদার। এছাড়া মহিপাল লোমরোর ১৭ বলে ৩২ রানই যেটুকু পুঁজি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে আরসিবি।
রান তাড়া করতে নেমে দলের হাল ধরেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৩০ বলে ৪৫ করেন তিনি। তবে টম কোহলার-ক্যাডমোর (১৫ বলে ২০) এবং সঞ্জু স্যামসন (১৩ বলে ১৭) হতাশ করেন। রিয়ান পরাগ ২৬ বলে ৩৬ করেন। এছাড়া ১৪ বলে ২৬ করেন শিমরন হেতমায়ের। ৮ বলে ১৬ করে অপরাজিত থাকেন রোভম্যান পাওয়েল। ১৯ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৪ করে ফেলে রাজস্থান।