শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে যে দুই ভাইয়ের নাম একেবারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তাঁরা সরফরাজ খান এবং মুশির খান। বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটে একেবারে দাপটের সঙ্গে খেলছেন তাঁরা। দাদা সরফরাজ খান জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় সিনিয়র টেস্ট দলে। আর ভাই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলেছেন।
খেলেছেন বললে মনে হয় অনেকটাই কম বলা হয়ে যায়। দু-দুটো শতরান করেছেন। ৩৬০ রান ছিল তাঁর ঝুলিতে। এর পরেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। ফিরে আসার পরে দাদা সরফরাজ তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন। আর সেই উপদেশকে সঙ্গী করেই এবার রঞ্জিতে তাঁর প্রথম শতরানটি করে ফেললেন মুশির খান। আর শতরানের পরেই খোলসা করলেন কী উপদেশ তাঁকে দিয়েছিলেন তাঁর দাদা।
রঞ্জিতে তাঁর তৃতীয় ম্যাচ খেলছিলেন মুশির। ১৮ বছর বয়সী মুশির এদিন মুম্বইয়ের হয়ে খেলতে নেমে হাঁকিয়েছেন অনবদ্য শতরান। দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন তিনি। একটা সময়ে এই রঞ্জি ম্যাচে মুম্বইয়ের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯০ রান। সেখান থেকেই দলকে টেনে তোলেন মুশির।
রাঁচির ভারত বনাম ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলার লাইভ আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
বরোদার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে দল যখন চাপে তখন কাউন্টার অ্যাটাকিং ক্রিকেটে কিস্তিমাত করেন মুশির। প্রথম দিনের শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ১২৮ রানে। এক মাসেরও কম সময়ে তিনটি শতরান হাঁকালেন মুশির। যার মধ্যে দুটি তিনি করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে। বাবা নওশাদ খানের প্রশিক্ষণে দুই ভাই এবার দুটি পর্যায়ের ক্রিকেটে মাতাচ্ছেন। প্রসঙ্গত দাদা সরফরাজ খানের কয়েকদিন আগেই রাজকোটে ভারতীয় সিনিয়র দলের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয়েছে। অভিষেক ম্যাচেই জোড়া অর্ধশতরান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এমন আবহে বিকেসি গ্রাউন্ডে প্রথম দিনের খেলা শেষে মুশির খান জানিয়েছেন, ‘বেশ ভালো সময় চলছে। এই মুহূর্তে আমাদের দুই ভাইয়ের ভালো সময় চলছে। ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে আমাদের দুজনের। তবে এইসব নিয়ে আমরা একেবারে ভাবতে চাই না। দাদা আমাকে বলেছিল খুব ভালো খেলেছ (অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে)। তবে আসল ক্রিকেট কিন্তু এখন থেকেই শুরু হবে। এরজন্য কিন্তু প্রস্তুত থাকতে হবে। উইকেটে টিকে থাকতে হবে। তাহলেই রান আসবে।’
দাদা সরফরাজের জন্য যে অনুশীলনের সূচি রেখেছেন বাবা নওশাদ খান, ভাই মুশিরেরও একেবারে এক। পাঁচটার সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। ছয়টার সময়ে অনুশীলন ম্যাচ খেলা। এরপর নেটে ব্যাটিং অনুশীলন। আর এই রুটিন অনুসরণ করেই এবার রঞ্জিতেও সাফল্য পেলেন ভাই মুশির খান।