সিনিয়র উইমেন্স টি-২০ ট্রফির ফাইনালে উঠে খেতাবের আশা উজ্জ্বল করল বাংলা। রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচে সুষমা বর্মার নেতৃত্বাধীন হিমাচলপ্রদেশকে পরাজিত করে বাংলার মহিলা ক্রিকেট দল।
মুম্বইয়ে টস জিতে বাংলাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় হিমাচলপ্রদেশ। বাংলা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৪ রান তুলে নিজেদের ইনিংস শেষ করে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৬ রান করেন তনুশ্রী সরকার। যদিও তিনি দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি। ৩৬ বলের ইনিংসে তনুশ্রী মোট ৩টি চার মারেন।
ওপেন করতে নেমে ২৮ বলে ৩১ রান করেন রিচা ঘোষ। তিনি মোট ৫টি চার মারেন। যদিও অপর ওপেনার ধারা গুজ্জর ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়ে বসেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মিতা পাল ৩০ বলে ২৯ রান করেন। তিনি ২টি চার মারেন।
পি বালা ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ১৩ রান করেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ১১ রান করে নট-আউট থাকেন ষষ্ঠী মণ্ডল। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৭ রান করেন হৃষিতা বসু।
হিমাচলের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন সুস্মিতা কুমারী। ৩ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন জ্যোতি ঠাকুর। ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন যমুনা রানা। ২ ওভারে ৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন সোনাল ঠাকুর।
পালটা ব্যাট করতে নেমে হিমাচলপ্রদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানে আটকে যায়। ২১ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে বাংলা। হিমাচলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩২ রান করেন শিবানী সিং। ২২ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
২৬ বলে ২৮ রান করেন হার্লিন দেওয়ল। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩০ বলে ২৩ রানের ধীর ইনিংস খেলেন সোনাল ঠাকুর। তিনি ৩টি চার মারেন। এছাড়া নিকিতা চৌহান ১৫ রানের যোগদান রাখেন।
বাংলার হয়ে তিতাস সাধু ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন সাইকা ইশাক। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায়, মিতা পাল ও মনিকা মাল। ম্যাচের সেরা হন মিতা। মঙ্গলবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সিনিয়র উইমেন্স টি-২০ ট্রফির ফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলা।