জাতীয় দলে ছিলেন বলে বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি রিঙ্কু সিং। তবে জাতীয় দল থেকে ফিরে হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জির দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। রঞ্জির আঙিনায় ফিরেই চমকপ্রদ ইনিংস উপহার দেন রিঙ্কু সিং। যদিও নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর।
লখনউয়ের স্পোর্টস গ্যলাক্সি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে উত্তরপ্রেদেশ ও হরিয়ানা। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হরিয়ানা। তারা প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান সংগ্রহ করে। অর্থাৎ, অ্যাওয়ে ম্যাচে রীতিমতো বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলেন অঙ্কিত কুমাররা।
হিমাংশু রানা ১৭৬ বলে ১১৪ রান করেন। মারেন ১৪টি চার ও ১টি ছক্কা। ২৫৬ বলে ১০৩ রান করেন ধীরু সিং। তিনি ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন অঙ্কিত কুমার ৭৭, সুমিত কুমার ৬১ ও যুজবেন্দ্র চাহাল ৪৮ রানের যোগদান রাখেন। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন যুজি। ৪৮ বলের ইনিংসে চাহাল ৬টি চার মারেন।
উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন শিবম শর্মা। ১২৯ রানে ৩টি উইকেট নেন বিপরাজ নিগম। ৫৬ রানে ২টি উইকেট নেন যশ দয়াল। ১০৮ রানে ১টি উইকেট নেন সৌরভ কুমার।
সেঞ্চুরি হাতছাড়া রিঙ্কু সিংয়ের
পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ একসময় ৪৩ রানে ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে। তবে ক্যাপ্টেন আরিয়ান জুয়েলকে সঙ্গে নিয়ে রিঙ্কু সিং দলের হাল ধরেন। দু'জনে মিলে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১৬২ রান যোগ করেন। শেষমেশ ব্যক্তিগত শতরানের দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরেন রিঙ্কু সিং। তিনি ১১০ বলে ৮৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে আউট হন। মারেন ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা।
বাংলার বিরুদ্ধে গত ম্যাচে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে এসেছিলেন আরিয়ান। তিনি সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে আউট হন। এবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে অনবদ্য শতরান করেন জুয়েল।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৬১ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে। ব্যক্তিগত ১০৪ রানে অপরাজিত ছিলেন আরিয়ান। রিঙ্কু সফল হলেও নীতীশ রানা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ২৪ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। হরিয়ানার হয়ে এখনও পযর্ন্ত ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আমন কুমার, হার্ষাল প্যাটেল ও জয়ন্ত যাদব। এখনও উইকেট পাননি যুজবেন্দ্র চাহাল।