এখনও ঠিক হয়নি রিঙ্কু সিংয়ের শটে ভেঙে যাওয়া মিডিয়া বক্সের কাচ। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গেবেরহায় , যা আগে পোর্ট এলিজাবেথ নাম পরিচিত ছিল, সেখানে এক টি-২০ ম্যাচে রিঙ্কুর বড় শট সোজা গিয়ে হিট করেছিল মিডিয়া বক্সে। ভেঙে গিয়েছিল কাচ, কিন্তু ২০২৩-এর পর ২০২৫-এ এসেও ঠিক করা গেল না সেই অংশ। জানা যাচ্ছে, স্টেডিয়ামের আর্থিক বরাদ্দ কম থাকায় সেটি এখনও ঠিক করে ওঠা সম্ভব হয়নি। গেবেরহার সেন্ট জর্জ পার্ক স্টেডিয়ামটি আকারে খুব বড় নয়, বিশেষ করে তুলনা যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলির সঙ্গে করা হয়। তবে এখানের মিডিয়া বক্সটি উঁচুতে করা হয়েছে, যাতে এই ধরণের বিপত্তি এড়ানো সম্ভব হয়।
বৃহস্পতিবার SA২০-র ম্যাচ চলার সময় এমআই কেপটাউনের ব্যাটার ডিওয়াল্ড ব্রুইস একটি ছক্কা হাঁকান, যা ঠিক রিঙ্কুর আঘাত করা অংশের পাশে হিট করে। তবে এরপরেও সম্পূর্ণরূপে ভেঙে যায়নি কাচটি। মেরামতের বিষয়টি নিয়ে স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকাএক আধিকারিক ম্যাচের শেষে হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘প্রথমত আপনি উচ্চতা দেখুন, এতো উঁচুতে সহজে মেরামতের কাজ করা সম্ভব নয়। আপনার ক্রেন সহ ভারী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। আপনি ম্যাচ চলাকালীন এইসব মাঠে নিয়ে আসতে পারবেন না। আমাদের এখানে প্রায়ই নিচের দিকে জানালাগুলি ভেঙে থাকে। যেটা আমরা এক নিমিষেই ঠিক করে ফেলি। তাই সবসময় একটি অগ্রাধিকার ঠিক করা রয়েছে। বাজেটের ঘাটতি রয়েছে, তবে আমরা যা পেয়েছি তা নিয়েই কাজ করছি। আমাদের স্টেডিয়ামের ছাউনি মেরামতের বিষয় ছিল। আপনি যদি ছাউনিটি দেখেন, আমরা এটিকে আচ্ছাদিত করেছি। ওটা একটা নতুন ছাউনি। আমি আপনাকে সফলভাবে সম্পন্ন করা কাজগুলি দেখাতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগস্টে ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম, সেই সময় একটি স্ট্যান্ডের পুরো ছাউনি উড়ে যায়। তারপরে আমরা বীমাসংস্থার কাছে একটি দাবি করেছিলাম। তবে তারা এর জন্য কোনও অর্থ প্রদান করেনি। আমাদের প্রায় ৪০০,০০০ র্যান্ড (ভারতীয় টাকায় প্রায় ১৮ লক্ষ) খরচ করতে হয়েছিল। এটা বেশ বড় অংশ ছিল। অন্যান্য অংশেও ক্ষতি হয়েছিল, তাই সেগুলিও মেরামত করতে হয়েছিল এবং কিছু প্রতিস্থাপনও প্রয়োজন ছিল। এতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই, সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে কাচ মেরামতের বিষয়টি বেশি অগ্রাধিকার নয়। কারণ, এটি কারও জন্য বিপদ ডেকে আনছে না। তাই বলে এর মানে এই নয় যে এটি ঠিক করার বিষয়টি আমাদের মাথায় নেই।’