এমন এমন সময় ঋষভ পন্ত রিভার্স সুইপ শট খেলে বসেন, যে দল মাঝে মধ্যে বিপদেও পড়ে যায়। পন্ত অবশ্য তাতে কে কি বলল ওসবকে তোয়াক্কা করেননা। মাঠে যখন খেলতে নামেন নিজের মেজাতেই থাকেন, আর খেলাকে চুটিয়ে উপভোগ করতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলেও প্রত্যাবর্তন হয়েছে উত্তরাখণ্ডের ছেলে ঋষভের। ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফিরেই টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। এবার সামনে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেট। বাংলাদেশ সিরিজ, নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বছর শেষের বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতেও গতবারের মতোই নজর কাড়তে মরিয়া ভারতীয় দলের ফার্স্ট চয়েস উইকেটকিপার ব্যাটার। সেই পন্ত নিজের খেলার উন্নতির জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীকে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ সিরিজে ডাক সরফরাজ-রাহুলকে! কি কারণে নির্বাচকদের বাদের খাতায় শ্রেয়স-শামি?
রাহুল দ্রাবিড় কোচ থাকাকালীন নিজের প্রথম আইসিসি ট্রফি জিতলেও নিজের পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য রবি শাস্ত্রীকেই বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন পন্ত। আসলে তাকে কেউ কিছু নিষেধ করলে সেটা আরও বেশি করে করতে ইচ্ছে করে তাঁর। কিন্তু বিকল্প পথ বেছে দিতে পারলে অবশ্য সেই পথই অবলম্বন করা সহজ।তাই পন্ত বলছেন, রবি শাস্ত্রী তাঁকে কোনও কিছুর ক্ষেত্রেই নিষেধ করেননি, বরং সহজ বিকল্প পথই বেছে দিয়েছিলেন যা তাঁকে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-ভুল করে ডোপিং করা সিনার গড়লেন ইতিহাস…প্রথম ইতালিয়ান হিসেবে US ওপেনে শিরোপা জয়!
এক পডকাস্টে ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক বলছেন, ‘আমার সঙ্গে রবি শাস্ত্রী সম্পর্ক খুব ভালো। আমার সঙ্গে বোঝাপড়াও বেশ ভালো ছিল কারণ খেলার ক্ষেত্রে আমায় পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল। আমায় যদি কেউ কোনও কিছু করতে বারণ করে সেটা আমার ঠিক লাগে না, বরং আমায় কেউ যদি বিকল্প পথ বেছে দিতে পারে তাহলে আমি সেই পথ বেছে নিতে পারি। একটা সময় ছিল যখন আমি বারবার অফ স্পিনারদের বলে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম, রবি ভাই ভাবছিল আমায় কি বলবে। এরপর আমাকে এসে বলেছিল যে অফ স্পিনারদের সামলানোর একটা পথ উনি বের করেছেন। আমায় কোচ বলেছিল টেস্ট ক্রিকেটে অফ স্পিনারদের ক্ষেত্রে আমি যাতে রিভার্স সুইপ খেলি, যেটা পরে আমায় অত্যন্ত সাহায্য করেছে ’।
সদ্য সমাপ্ত দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডে লাল বলের ক্রিকেটে ৩৪ বলে অর্ধশতরান করেন ঋষভ পন্ত। ৪৭ বলে সেই ইনিংসে করেন ৬১ রান। দেশের হয়ে ৩৩টা টেস্ট ম্যাচে একাধিক ভালো ইনিংস খেললেও, গাব্বায় তাঁর অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস এখনও সকলের মনে আছে। কারণ ২০২১ সালে অজিদের গাব্বার অহঙ্কার চূর্ণ করেছিল ভারত, পন্তের সেই ইনিংসের দৌলতে।