২০২৪ সালের সেরা ক্যাচ এবং সেরা ক্রিকেটিয় মূহূর্তগুলোর মধ্যে সবার ওপরের দিকেই থাকবে টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে সূর্যকুমার যাদবের নেওয়া ডেভিড মিলারের ক্যাচ। হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিংয়ে ম্যাচের শেষ ওভারে সজোরে শট খেলেছিলেন দঃ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার মিলার, সূর্যকুমার যাদব বাউন্ডারিতে অনবদ্য ক্যাচ না নিলে সেই বল নিঃসন্দেহে ছয় হয়ে যেত। কিন্তু মুম্বইকর ব্য়াটারের মাস্টার ক্লাস ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যেই ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে ওঠে রোহিতের, কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের। আর ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট কোহলির। একইসঙ্গে অনেকের স্বপ্নপূরণ হয় সূর্যর ওই ক্যাচের জন্য। দু মাস কেটে গেলেও এখনও সেদিনের ক্যাচের স্মৃতি ভুলতে পারছেন না ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ। বলছেন মিলার যখন শটটা চালিয়েছিল মনে হয়েছিল খেলা শেষ…
আরও পড়ুন-ইজরায়েলের মাঠে দুরন্ত জয় ইতালির! আজ মুখোমুখি জার্মানি-নেদারল্যান্ডস! নামছে ইংল্যান্ডও…
ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফিরেই টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান ঋষভ পন্ত। কিন্তু সেদিন ঠিক সময় ঠিক জায়গায় সূর্যকুমার যাদব উপস্থিত না থাকলে জেতা হত না ভারতের। সেই স্মৃতি এখনও বারবার ঘুরে ফিরে আসে ঋষভ পন্তের জীবনে, নিজেই জানাচ্ছেন সেই মহূর্তের কথা।
পন্ত বলছেন, ‘বল যখন মিলার মেরেছিল, আমি তো ভেলেছিলাম খেলা হয়ত শেষ হয়ে গেল। কারণ নিশ্চিত ছয় হত ওটা, তবে সমর্থকদের প্রার্থনার জন্যই বল বাউন্ডারি পেরোয়নি। আমার যখন দুর্ঘটনা হয়েছিল তখন আমি বারবার ভাবতাম বিশ্বকাপ জেতার কথা। ফিরে এসেই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ সত্যিই অন্যরকম। তবে আমি এটা নিয়ে বেশিদিন থাকতে চাইনা। কারণ ১০-১৫দিন পরই মানুষ এসব ভুলে যায়। স্মৃতিটা সারাজীবন থাকবে তবে আমাদের সামনে দিকে তাকাতে হবে ’।
এরপর সেই ইউটিউব পডকাস্টে পন্তকে প্রশ্ন করা হয় ইংল্যান্ডেক কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের টেস্ট ক্রিকেটে বাজবল টেকনিক নিয়ে। সেই নিয়ে পন্ত পাল্টা সঞ্চালককেই প্রশ্ন করে বলেন, ‘এখন যখন অন্যদের দেখছ, তখন খুব ভালো লাগছে দেখতে, আর আমি যখন একই কাজ করছিলাম তখন ভালো লাগছিল না, তাই না? ’ প্রসঙ্গত বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে লাল বলের ক্রিকেটের স্কোয়াডেও প্রত্যাবর্তন হয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই ক্রিকেটারের। প্রথম একাদশেও পন্তের খেলা প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করছে ক্রিকেটমহল।