ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রত্যাবর্তনের জন্য তৈরি হচ্ছেন ঋষভ পন্ত। আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। তারপরই লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হবে পন্তের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ঋষভ। এরপর প্রায় ১ বছর চার মাস পর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয় পন্তের প্রত্যাবর্তনের লড়াই আইপিএলের হাত ধরে। দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হিসেবে নিজের দক্ষতা এবং ফিটনেস প্রমাণ করেই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেন দেরাদুনের এই ছেলে।
ভারতের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের জাতীয় দলে কামব্যাকে ক্রিকেট দেবতার আশীর্বাদ পান। নিজে ব্যাট হাতে কয়েকটা ম্যাচে জ্বলে ওঠার পাশাপাশি ১১ বছরের অপেক্ষার শেষে আইসিসির ট্রফির খরা কাটে ভারতের। ঋষভ পন্তরা জেতেন দ্বিতীয় টি২০ বিশ্বকাপ। এটাই ছিল তাঁর কেরিয়ারের প্রথম আইসিসি ট্রফি। ফলে দুর্ঘটনার দেড় বছরের মধ্যেই রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের গল্পই লেখেন এই তারকা। এরই মধ্যে শুরু হচ্ছে পন্তের ভারতীয় টেস্ট দলে কামব্যাকের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দলীপ ট্রফি, সেখানে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে নামতে চলেছে ঋষভ।
সামনে রয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গতবার টেস্ট সিরিজ জয়ে ভালোই ভূমিকা ছিল পন্তের। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে তাই দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্যেও দেখে নিতে চলেছে অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি। লোকেশ রাহুলকে পিছনে ফেলে টেস্ট দলে ঢুকতে গেলে দলীপ ট্রফিতে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে ঋষভ পন্তকে। সেই চ্যালেঞ্জের জন্য তিনি যে তৈরি, সেটা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সোশাল মিডিয়ায় নিজের ট্রেনিংয়ের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ঋষভ পন্ত লিখলেন, ‘আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে, নিজের ১০০ শতাংশ দিতে এবং তাঁর থেকে শিক্ষা নিতে। তবে আমি চেষ্টা করি কোনওরকম প্রত্যাশা না করতে, কারণ প্রত্যাশা কখনও কখনও মানুষের মনকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে ’।
আরও পড়ুন-সিন্ধুরা পারেননি, পারলেন শরদরা! টোকিয়োর সাফল্য প্যারিসে টপকাল প্যারালিম্পিয়ানরা…
আইপিএলে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে এবারে ঋষভ পন্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। ১৩ ম্যাচে ১৫৫-র বেশি স্ট্রাইক রেটে ঋষভ পন্ত করেন ৪৪৬ রান। জুন মাসে সমাপ্ত টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন পন্ত, করেন ১৭১ রান। এছাড়াও উইকেটের পিছনে নেন ১৪টি শিকার, যেটা এক সংস্করণে রেকর্ডও বটে। দলীপ ট্রফিতে ভারতীয় বি দলের হয়ে খেলছেন তিনি।