হায়দরাবাদের মাঠে গিয়ে ভালো বোলিং করল লখনউ সুপার জায়ান্টের শার্দুল ঠাকুর, প্রিন্স যাদবরা। প্রথম ম্যাচে হারলেও এদিন অত্যন্ত সংযমি বোলিং করল এলএসজির দুই পেসার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ রান করল ট্র্যাভিস হেডদের দল। ঋষভ পন্ত টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তখনই তিনি একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদের উদ্দেশ্যে। পন্তকে বলতে শোনা যায় যত রানই আজকে এসআরএইচ করুক না কেন, সেটা তাঁরা চেজ করে নেবেন। অর্থাৎ রান তাড়া করে জেতার জন্য তাঁদের দল যে তৈরি রয়েছে, সেকথা জানিয়ে দেন ঋষভ পন্ত। পন্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা আগে বোলিং করব, কারণ ওদের তাড়াতাড়ি আউট করার চেষ্টা করব, সেই যে টার্গেটই হোক না কেন সেটা চেজ করব। দলের কম্বিনেশনের ওপর নির্ভর করেই আমরা বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। যত রানই ওরা করুক না কেন, আমরা আজ চেজ করবই ’।
অতীতের স্মৃতি টাটকা LSG সমর্থকদের
এর আগে শেষ যখন লখনউ সুপার জায়ান্ট এবং সানরাইজার্স হায়দারাবাদ মুখোমুখি হয়েছিল৮ মে ২০২৪ সালে, তখন কি হয়েছিল, সকলেরই মনে রয়েছে। সেবার এলএসজি প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ করেছিল। এরপর ওপেনিং জুটিতেই হেড এবং অভিষেক শর্মা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়েছিলেন, এরপর এলএসজির সেই সময়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ব্যাপক ঝাড় খেয়েছিলেন কর্ণধারের কাছে। পন্ত অবশ্য ম্যাচের আগে অনেকটাই সাহস দেখালেন।
দুরন্ত বোলিং করেন শুরুতে শার্দুল ঠাকুর
অধিনায়কের কথার সম্মান রাখলেন শার্দুল ঠাকুরও। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই অভিষেক শর্মা আউট হলেন শার্দুলের বোলিংয়ে। ফাইন লেগের দিকে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হলেন। এরপর দ্বিতীয় বলে ইশান কিষান লেগ সাইডে শট খেলতে গিয়ে ধরা দিলেন ঋষভ পন্তের হাতে। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও তা কোনও মতে আটকালেন নীতীশ রেড্ডি। অথচ এই শার্দুল দলই পাননি আইপিএলের নিলামে। মোহসিন খান চোট পাওয়ায় তিনি দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। আর পরপর দুই ম্যাচেই এক ওভারে দুটি করে উইকেট নিলেন তিনি।
লড়াই করেন নীতীশ রেড্ডি
এরপর নিকোলাস পুরান সহজ ক্যাচ মিস করেছিলেন ট্র্যাভিস হেডের, রবি বিষ্ণোইয়ের হাতে লেগেও একটি ক্যাচ মিস হল হেডের। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারলেন না ট্র্যাভিস হেড। করলেন ২৮ বলে ৪৭ রান। ভালো ফুল লেন্থ বলে হেডকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরান প্রিন্স যাদব।
১৭ বলে ২৬ রানের ভালো ইনিংস খেলছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন, তবে তিনি রান আউট হয়ে যান দুর্ভাগ্যজনকভাবে। নীতীশ রেড্ডি এসএরআইচের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান, তবে ২৮ বলে ৩২ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন। এরপর সানরাইজার্সের হয়ে ১৩ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও খেলেন অনিকেত বর্মা। নিজের ইনিংসে একটিও চার না মারলেও, তিনি পাঁচটি ছয় মারেন। এরপর বোলিং করতে এসে ফের শার্দুল উইকেট তুলে নেন, আউট করেন অভিনব মনোহরকে। এরপর প্যাট কামিন্স এসে তিনটি ছয় মেরে ৪ বলে ১৮ রান করে আউট হন। নিজের শেষ ওভারে শার্দুল ঠাকুর আউট করেন মহম্মদ শামিকে। মাত্র ২ ম্যাচের পরই ৬ উইকেট নিয়ে পার্পেল ক্যাপের মালিক এখন শার্দুল। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। সানরাইজার্স দল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ রান করে।