বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সম্মুখসমরে ভারত-নিউজিল্যান্ড। টেস্টের চতুর্থ দিনে মজার ঘটনার সাক্ষী থাকল দর্শক। ভারতের ইনিংসের ৬৬ তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। তখন ক্রিজে ছিলেন ঋষভ পন্ত এবং সরফরাজ খান। বল করতে আসেন নিউজিল্যান্ডের স্পিন বোলার আজাজ প্যাটেল। ব্যাট করছিলেন ঋষভ পন্ত। প্রথম বলেই লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান ভারতের এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় বলে ডিফেন্স করেন ঋষভ। এরপর তৃতীয় বলে ফের ছক্কা মারেন, এবার বোলারের মাথার উপর দিয়ে সোজা তুলে মারেন। এরপর ওভারের চতুর্থ বল খেলতে গিয়ে প্যাডে লাগে ঋষভের। LBW-র আপিল করা হয় বোলার আজাজ প্যাটেল এবং নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষ থেকে।
আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে DRS নিয়ে নেন ঋষভ পন্ত। এরপর দেখা যায় বল সরাসরি প্যাডে লাগেনি তাঁর। প্রথমে ব্যাটের কানায় লেগে তারপর ঋষভের প্যাডে লেগেছে। আম্পয়ার তাঁর ডিসিশন পরিবর্তন করেন। আবার ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত হন ঋষভ। কিন্তু ফের একবার বল প্যাডে লাগে তাঁর। আপিল করা হয় নিউজিল্যান্ড দলের তরফে। যদিও এবার আউট দেননি আম্পায়ার। সরাসরি সেই ডিসিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে DRS নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এবারও দেখা যায় ঋষভ পন্ত নট আউট। এর পর শেষ বলে আজাজ প্যাটেলের বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি। সেখানেও যদিও ক্যাচের সুযোগ ছিল লং অফে রাচিন রবীন্দ্রনের কাছে। দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে একটুর জন্য মিস করেন তিনি, বল গড়িয়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে। ওভারে মোট ১৬ রান দেন আজাজ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উইকেটকিপিং করার সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পন্ত। তাঁর জায়গায় শুক্রবার উইকেট কিপিং করতে দেখা যায় ধ্রুব জুরেলকে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, চোটের ওপর নজর রাখছে মেডিক্যাল টিম। সংশয় দেখা দিয়েছিল তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং করা নিয়ে। তবে শনিবার সকালে যখন তিনি ব্যাট করতে নামেন, তখন দুশ্চিন্তা দূর হয়ে সকলের। এদিন ব্যাট হাতে ঋষভকে প্রথম থেকেই দুরন্ত দেখায়। অর্ধশতরান করেছেন তিনি। মেরেছেন ৫টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি। বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে এরপর। এর আগে প্রথম দিনও বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয়েছিল টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ৪৬ রানে লজ্জাজনকভাবে অলডাউন হয়েছিল। জবাবে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৪০২ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরে আসে রোহিতরা। এখন দেখার ম্যাচের ফয়সালা সম্ভব হয়, নাকি বৃষ্টির কারণে ড্র হয়ে যায় ম্যাচ।