পুণে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্য়ান্ডকে ২৫৫ রানে আটকে রাখে ভারত। তবে প্রথম ইনিংসের ১০৩ রানের খামতির জন্যই ভারতের জয়ের টার্গেট গিয়ে পৌঁছয় ৩৫৯ রানে। পুণের বাইশগজে স্পিনারদের সামনে রান তোলা মুশকিল সন্দেহ নেই, তবে ভারতের জয়ের টার্গেট নাগালের বাইরে, এমনটা বলা যাবে না মোটেও।
আসলে ব্যাটিং গভীরতার জন্যই ভারত পুণে টেস্টে জয় তুলে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে এমন ম্যাচ জিততে হলে যে ঋষভ পন্তের মতো আগ্রাসী ব্যাটারের পরিচিত ছন্দে নিজেকে মেলে ধরা জরুরি, সেটাও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ভারত শেষ ইনিংসে রান তাড়া শুরু করে আগ্রাসী মেজাজে। রোহিত-যশস্বীর ওপেনিং জুটি ব্যাট চালাতে শুরু করে প্রথম ওভার থেকেই। যদিও রোহিত আউট হয়ে বসেন দলগত ৩৪ রানে। দলগত ৯৬ রানে সাজঘরে ফেরেন শুভমন গিল। ১২৭ রানের মাথায় যশস্বী জসওয়াল আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ঋষভ পন্ত। সেই সময় ক্রিজের অপর প্রান্তে ছিলেন বিরাট কোহলি।
সুতরাং, ভারতীয় সমর্থকরা এমন পরিস্থিতিতে তাকিয়ে ছিলেন ঋষভের দিকে। পন্ত অতীতে এমন পরিস্থিতি থেকে আগেও ম্যাচ জিতিয়েছেন ভারতকে। যদিও এক্ষেত্রে মুহূর্তের ভুলে হিসাবে গোলমাল হয়ে যায় ঋষভের। বিরাট কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ক্রিজে আসার পরেই রান-আউট হয়ে বসেন পন্ত।
বেঙ্গালুরু টেস্টে পন্তকে রান-আউট থেকে বাঁচাতে রীতিমতো লাফালাফি করতে দেখা গিয়েছিল সরফরাজ খানকে। এক্ষেত্রে ঝুঁকি নিয়ে এক রান নেওয়ার চেষ্টায় উইকেট খোয়াতে হয় ঋষভকে। ডেঞ্জার এন্ডে ছিলেন ঋষভ পন্ত। তা সত্ত্বেও পন্তকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেননি বিরাট কোহলি। বল ফিল্ডারের হাতে চলে গিয়েছে দেখেও অবিবেচকের মতো রান নিতে দৌড়ন পন্ত। অথচ তিনি কোহলিকে রান নিতে বারণ করতেই পারতেন। শেষমেশ ২২.২ ওভারে ঋষভ রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি খাতাও খুলতে পারেননি।
পন্ত আউট হওয়া মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের প্রসঙ্গ। সেবার সেমিফাইনালে উইকেটকিপার-ব্যাটার মহেন্দ্র সিং ধোনির রান-আউট ভারি পড়ে যায় ভারতীয় শিবিরে। ধোনি সেদিন রান-আউট না হলে ভারত ম্যাচ জিততে পারত বলে বিশ্বাস ক্রিকেটপ্রেমীদের। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের উইকেটকিপার পন্তের রান-আউট হওয়ার মাশুল দিতে হতে পারে ভারতকে, এমনটাই দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়।