প্রথম ইনিংসে নভদীপ সাইনির বলে ঠিক একইভাবে নিজের বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের অনবদ্য ক্যাচ ধরেন ঋষভ পন্ত। ইন্ডিয়া-এ টিমের বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফির ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন পন্ত। এবার সেই সাইনির বলেই শূন্য উড়ে আবেশ খানের ব্যাট ছোঁয়া বল দস্তানাবন্দি করেন ঋষভ।
রবিবার ম্যাচের চতুর্থ তথা শেষ দিনে জয়ের জন্য ইন্ডিয়া-এ দলের সামনে ২৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্র ঝুলিয়ে দেয় ইন্ডিয়া-বি টিম। শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া-এ দল যদিও জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। শেষ ইনিংসের একেবারে শেষ বেলায় আবেশের ক্যাচ ধরতে দুর্ধর্ষ কিপিং দক্ষতার নমুনা পেশ করেন পন্ত।
শেষ ইনিংসের ৫০.৪ ওভারে আবেশকে শরীরের উপরে শর্ট পিচড ডেলিভারি করেন সাইনি। বলের লাইন থেকে শরীর দূরে সরিয়ে লেগ সাইডে গ্লান্স করার চেষ্টা করেন আবেশ। বল তাঁর ব্যাটের কানা নিয়ে উইকেটকিপার পন্তের বাঁ-দিকে উড়ে যায়। পন্ত শূন্যে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে বল দস্তানাবন্দি করে নেন। ফলে আবেশকে ব্যক্তিগত ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয়।
ম্যাচে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া-এ দলকে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে অভিমন্যু ঈশ্বরনের ইন্ডিয়া-বি দল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া-বি দল। তারা প্রথম ইনিংসে ৩২১ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-এ দল ২৩১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯০ রানের লিড পেয়ে যায় ইন্ডিয়া-বি দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইন্ডিয়া-বি দল অল-আউট হয় ১৮৪ রানে। জয়ের জন্য ইন্ডিয়া-এ দলের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৭৫ রানের। ইন্ডিয়া-এ দলের শেষ ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭৩ বলে ১৮১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুশির খান।
ইন্ডিয়া-এ টিম ম্যাচ হারায় ব্যর্থ হয় ব্যাটে-বলে আকাশ দীপের অনবদ্য লড়াই। আকাশ দীপ প্রথম ইনিংসে ৪টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ১১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বাংলার তারকা।
ঋষভ পন্ত দলীপের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে ও কিপিংয়ে যে রকম পারফর্ম্যান্স উপহার দেন, তাতে তাঁর টেস্ট স্কোয়াডে ফেরা কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে। সোমবার জাতীয় নির্বাচকরা বাংলাদেশ সিরিজের দল গড়ে নিতে পারেন। তাতে প্রথম পছন্দের কিপার হিসেবে নাম থাকতে পারে পন্তের।