আইপিএল ২০২৪-এ মহেন্দ্র সিং ধোনি আর কটা ম্যাচ খেলবেন তা জানতে গেলে তাকিয়ে থাকতে হবে শনিবারের ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে গেলেই আইপিএল থেকে বিদায় হয়ে যাবে সিএসকের, একই সঙ্গে হয়ত অবসান হবে মহেন্দ্র সিং ধোনির আইপিএল কেরিয়ারের। চলতি আইপিএলে বারবারই নজরে এসেছে তাঁর শারীরিক সমস্যার দিকগুলি। কখনও দেখা গেছে কোমরে বেল্ট লাগিয়ে ফিল্ডিং করছেন, আবার কখনও শারীরিক সমস্যার জেরে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে ব্যাট করতে আসতে পারেননি। কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং তো সোজাকথায় বলেই দিয়েছেন, ধোনিকে বেশি চাপ দিতে গেলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবেন। নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যায় বল খেলতে পারবেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁঁর ৯ নম্বরে ব্যাট করে আসা নিয়েও বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। চিপকে গত ম্যাচের পর ধোনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে টেনিস বল ছুঁড়ে ছিলেন, যা দেখেই অনেকে অনুমান করে নিয়েছিলেন এটাই হয়ত তাঁর শেষ আইপিএল। যদিও সিএসকেতে মাহির এক সময়ের সতীর্থ কিন্তু মনে করছেন এটাই শেষ নয় তাঁর।
আরও পড়ুন-‘আমার ভাইয়ের জন্য গর্বিত’,বিদায়লগ্নে সুনীলকে বার্তা বিরাট কোহলির
চেন্নাই সুপার কিংসের কয়েক বছর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গেই খেলেছিলেন রবিন উথাপ্পা। সামনে থেকে দেখেছেন মাহিকে। তিনি মনে করছেন এটা ধোনির শেষ আইপিএল নয়, একইসঙ্গে তিনি বলছেন, প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে রুতুরাজ গায়েকওয়াড় দলকে প্লে অফে তুলতে পারলে তাঁর আত্মবিশ্বাস বেশ ভালো জায়গায় থাকবে, যা ভবিষ্যতে চেন্নাইকে সুবিধা দেবে।
এক সাক্ষাৎকারে রবিন উথাপ্পা বলছেন, ‘ আমি মনে করিনা এটা ধোনির শেষ আইপিএল, ব্যক্তিগতভাবে আমার সেটা একদমই মনে হয় না। রুতুরাজ এই আইপিএলে প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবেই যদি চেন্নাইকে প্লে অফে তুলতে পারে তাহলে সেটা ওকে অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে, যেটা চেন্নাইয়ের ভবিষ্যৎ-এর জন্যও খুব ভালো হবে। কারণ রুতুকে নিয়ে সিএসকের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। এই ম্যাচ আমার কাছে ৫০-৫০, আমি দুই দলের হয়েই খেলেছি। তবে আমার মনে হয়, টস এখানে বড় ফ্যক্টর হবে’।
আরও পড়ুন-'সুনীলকে ছাড়া ভারতীয় ফুটবল ভাবতেই পারছি না,দেশের জন্য ওকে ফিরতে হবে',বললেন জেজে
নিজের কেরিয়ারে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দুই দলের হয়েই খেলেছেন রবিন। শনিবারের ম্যাচে রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। সেক্ষেত্রে টস একটা বড় ফ্যক্টর হতে পারে, বলেই মনে করছেন তিনি। কারণ টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামলে, পরে বৃৃ্ষ্টি পড়লে কিছুই আর তেমন করার থাকবে না। তাই দুই অধিনায়কই চাইবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিততে।