দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (DDCA) সভাপতি নির্বাচিত হলেন রোহন জেটলি। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় বার তিনি এই পদে বসলেন। সোমবার নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রোহনের প্রতিপক্ষ ছিলেন কীর্তি আজাদ। এদিন মোট ২৪১৩টি ভোট পড়ে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২০৭টি ভোটের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির ছেলে রোহন, মোট ১৫৭৭টি ভোট পান। অন্য দিকে ৭৭৭টি ভোট পান কীর্তি আজাদ। জেটলি গোষ্ঠীর সদস্যরা অন্য সব পদেও জয় পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে শিখা কুমার (১,২৪৬ ভোট) রাকেশ কুমার বনসাল (৫৩৬) এবং সুধীর কুমার আগরওয়ালকে (৪৯৮) পরাজিত করেছেন।
সচিব পদের ভোটে জেটলি শিবিরের অশোক শর্মা বিজয়ী হয়েছেন। হরিশ সিংলা ১০৪৯ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ পদের দৌড়ে জিতেছেন। এছাড়াও অমিত গ্রোভার নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে যুগ্ম সচিবের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।উল্লেখ্য, কীর্তি আজাদ ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য, এছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সাংসদ। রোহন জেটলির বাবা অরুণ জেটলি ১৪ বছর ধরে DDCA-র সভাপতি ছিলেন। রোহন প্রায় চার বছর আগে প্রথমবার DDCA-র প্রধান নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে রাজধানীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল।
তিনি এই বছর দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী সংস্করণেরও আয়োজন করেছিলেন, যেখানে ঋষভ পন্ত, ইশান্ত শর্মার মতো তারকা খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছিলেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ তাঁর প্রচারাভিযানের সময় DDCA-তে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, দিল্লির ক্রিকেট সংস্থা গত বছর BCCI থেকে পাওয়া ১৪০ কোটি টাকা ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেননি, নাম মাত্রই খরচ করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন কীর্তি আজাদ। তার ৪ বছর পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। এরপর তিনি প্রথমে কংগ্রেসে এবং তারপরে ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে তাঁর আনা যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগ যে ধোপে টিকল না তা ভোটের ফলেই পরিষ্কার। অন্য দিকে BCCI-র সচিব হওয়ার দৌড়ে নাম রয়েছে রোহন জেটলির। আগে এই পদে ছিলেন জয় শাহ। তিনি ICC-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আপাত ভারপ্রাপ্ত সচিব হয়েছেন দেবজিৎ সাইকিয়া। আগামী বছর নির্বাচন রয়েছে। সেখানেই স্থায়ী সচিব কে হবেন তা ঠিক করা হবে। তার আগে DDCA-র নির্বাচন জিতে জমি শক্ত করলেন রোহন জেটলি।