যখন ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামতেন, আইপিএল খেলেছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। তবে এবছর আমেরিকার ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল নিলামে নাম দিয়েছিলেন উন্মুক্ত চাঁদ। যদিও যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে দলে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আইপিএল দলগুলি কেন উন্মুক্তের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে চলতি নেপাল প্রিমিয়র লিগে। আসলে উন্মুক্ত একেবারেই ছন্দে নেই। এনপিএলের তিন ম্যাচে মাঠে নেমে এই নিয়ে ২টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। একটি ম্যাচে আউট হন মাত্র ৪ রান করে। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ৪ রান করেন উন্মুক্ত।
মঙ্গলবার নেপাল প্রিমিয়র লিগের ১৬তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে লুম্বিনি লায়ন্স ও চিতওয়ান রাইনোজ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লায়ন্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেন করতে নেমে আশুতোষ ৭ বলে ১ রান করেন। অপর ওপেনার অর্জুন ১২ বলে ১৫ রান করে আউট হন। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে আউট হন উন্মুক্ত চাঁদ। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেল ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
রোহিত ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৫৭ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৮০ রান করে মাঠ ছাড়েন রোহিত। তিনি সব মিলিয়ে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন সাদ বিন জাফর। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়েন। রাইনোজের হয়ে রিজান ধাকাল ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চিতওয়ান রাইনোজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৪ রানে আটকে যায়। ৩৩ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে লুমবিনি লায়ন্স। চিতওয়ানের হয়ে ক্যাপ্টেন কুশল মাল্লা করেন ১৭ বলে ২০ রান। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে ২২ রান করেন নর সারকি। তিনিও ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। রবি বোপারা ১৬ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ব্যাট হাতে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলা ছাড়া বল হাতেও দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন রোহিত পাউডেল। লায়ন্সের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রোহিত।