ক্যাপ্টেন নিজে ফর্মে না থাকলে দলের পারফর্ম্যান্সে তাঁর প্রভাব পড়তে বাধ্য। চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হিটম্যান। বরং জসপ্রীত বুমরাহ পার্থ টেস্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে উদ্দীপ্ত করেন এবং ক্যাপ্টেন হিসেবে দলকে জয় এনে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই নিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ফর্মে না থাকায় ক্যাপ্টেনকেই বসতে হল রিজার্ভ বেঞ্চে। সিডনি টেস্টে রোহিত শর্মাকে ছাড়াই মাঠে নামল ভারত। হিটম্যানের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলের নেতৃত্বের দায়ভার পড়ে বুমরাহর কাঁধে।
সিডনি টেস্টে রোহিত শর্মা মাঠে নাও নামতে পারেন, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টের পর থেকেই। সেই জল্পনা আরও দৃঢ় হয় সিডনি টেস্টের আগের দিন। প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে হেড কোচ গৌতম গম্ভীর রোহিতের প্রথম একাদশে থাকা নিয়ে নিশ্চয়তা দেননি। তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান প্রসঙ্গ। শুধু বলেন যে, টসের আগে পিচ দেখে প্রথম একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছিল যে, প্রয়োজনে ক্যাপ্টেন রোহিতকে বসিয়ে দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এক্ষেত্রে তেমনটাই দেখা যায় সিডনিতে। ফর্মে না থাকা রোহিতকে ছাড়াই সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ শেষ টেস্টে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। দলের স্বার্থে রোহিত নিজেকে সিডনি টেস্ট থেকে সরিয়ে নেন। তাঁর বদলে দলে ফেরেন শুভমন গিল।
আসলে ব্যাটার হিসেবে রোহিত শর্মা চলতি সিরিজে চূড়ান্ত ব্যর্থ। তিনি অ্যাডিলেড টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন। ব্রিসবেন টেস্টের একটি ইনিংসে ব্যাট করে রোহিত সংগ্রহ করেন ১০ রান। মেলবোর্ন টেস্টের দুই ইনিংসে ওপেন করতে নেমে রোহিত সংগ্রহ করেন যাথাক্রমে ৩ ও ৯ রান। সুতরাং, ৩টি টেস্টের ৫টি ইনিংসে ব্যাট করে রোহিত সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ৩১ রান।
ভারতীয় দল তাদের প্রথম একাদশে মোট একজোড়া বদল করে। রোহিত ছাড়াও সিডনিতে মাঠে নামেননি পেসার আকাশ দীপ। আকাশের চোট রয়েছে বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় ভারতীয় শিবিরের তরফে। তাঁর বদলে সিরিজে প্রথমবার মাঠে নামার সুযোগ পান প্রসিধ কৃষ্ণা।
সিডনি টেস্টে ভারতের প্রথম একাদশ
যশস্বী জসওয়াল, লোকেশ রাহুল, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, নীতীশ রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, প্রসিধ কৃষ্ণা, জসপ্রীত বুমরাহ (ক্যাপ্টেন) ও মহম্মদ সিরাজ।