টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দিন-দিন কঠিন হয়ে উঠছে রোহিতের যাত্রাপথ। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে টেস্টে হারের পর আবার পরাজয়ের মুখ দেখলেন রোহিত। পারিবারিক কারণে পার্থে প্রথম টেস্ট খেলেননি তিনি। তাঁর জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। ২৯৫ রানে প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছিল ভারত। নেতৃত্বের বদল হতেই ফের হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। আর এই পরাজয়ের পরেই এক অযাচিত রেকর্ড গড়ে ফেললেন রোহিত। টপকে গেলেন কপিল দেবকে।
এখনও পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে ২২টি টেস্ট খেলেছেন রোহিত, যার মধ্যে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে ৮টিতে। ২০২২ সালে ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ১২টি টেস্টে জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া এবং ড্র করেছে ২টি। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে পরাজয়ের নিরিখে বর্তমানে রোহিতের পরেই রয়েছেন কপিল দেব। যিনি ৩৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতকে, জয় পেয়েছিলেন ৪টিতে এবং পরাজিত হয়েছিলেন ৭টিতে। কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে জয় পেয়েছিল।
১৭টি পরাজয়ের সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড রয়েছে বিরাট কোহলির নামে। তবে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনি। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট ৬৮টি ম্যাচের মধ্যে ৪০টিতে জয় পেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে পরাজিত হয় ভারত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানে অল-আউট হয়ে যায় ভারত। জবাবে ৩৩৭ রানে করে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৭৫ রানে অল-আউট হয়ে যায় ভারত। জয়ের জন্য মাত্র ১৯ রানের প্রয়োজন ছিল অজিদের, যা অনায়াসে করে ফেলে তারা।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অধীনে ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৫টি টেস্ট খেলবে। যার প্রথম দু'টি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছিল ভারত। এবার দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ।
তারপর ২৬ তারিখ থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট এবং ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু হবে সিরিজের শেষ অর্থাৎ পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ। এখন ব্রিসবেনে ঘুরে দাঁড়ানো লক্ষ্য ভারতের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিরিখে দু’দলের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্টে জিতে আবার WTC পয়েন্ট টেবিলে পয়লা নম্বরে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ নম্বরে চলে গেছে ভারত। ২ নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।