ভারতীয় দলের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল প্রথম টেস্টের সময় মিচেল স্টার্ককে বলেছিলেন, তাঁর বোলিংয়ের গতি কমেছে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে যশস্বীকে স্টার্ক বুঝিয়েছিলেন বুড়ো হলেও তাঁর হাড়ের ভেল্কি এখনও অনেক। এরই মাঝে ট্র্যাভি হেডের সঙ্গেও অ্যাডিলেডে ম্যাচের মধ্যে বিতর্কে জড়ান মহম্মদ সিরাজ।
আরও পড়ুন -BPL-এ খেলতে এসে টাকা মেরে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স! ভরা মাঠে অভিযোগ ইমরান তাহিরের…
হেডের সঙ্গে অযথা বিতর্কে সিরাজ-
ট্র্যাভিস হেড যখন প্রথম ইনিংসে ১৪০ রান করে আউট হলেন ততক্ষণে তিনি মাঠে উপস্থিত দর্শক থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সবারই নজর কেড়ে নিয়েছেন। এদিকে হেড ভারতের বিপক্ষে যে ম্যাচে শতরান করেন, সেই ম্যাচ আবার অজিরা খুব একটা হারে না। সেটা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল আর গোলাপি বলের টেস্টে প্রমাণ পেয়েছেন রোহিত শর্মা।
আরও পড়ুন-Video -উল্টো হাতে স্কট বোল্যান্ডকে ছয়! নীতীশের রিভার্সে সুইপে তাক লাগল অ্যাডিলেডে…
অজিদের জাগাতে চান না রোহিত-
সম্প্রতি এক মজাদার তথ্যও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে হেডের পারফরমেন্স বেড়ে যায় কয়েকগুন যখন রোহিত শর্মা অধিনায়ক থাকেন। এই মিথ ভাঙতে মরিয়া রোহিত নিজেও। সিরাজের ভুলে যদি আবার হেডও জেগে ওঠেন সিরিজের বাকি টেস্টে তাহলে বিপদ, তাই হেড-সিরাজ বিতর্কের অ্যাডিলেডেই ইতি টানতে চাইলেন ভারত অধিনায়ক। আসলে বিরাট, স্টার্ক, হেডের মতো দক্ষ ক্রিকেটারদের যত শান্ত রাখা যায় ততই প্রতিপক্ষ দলের জন্য মঙ্গল।
আরও পড়ুন-অ্যাডিলেডে রেকর্ড! ভারতের অসি যুদ্ধ দেখতে মাঠে হাজির ৫০ হাজারের বেশি সমর্থক...
সিরাজ সিমা পেরিয়ে যায় নি-
ম্যাচ শেষে সিরাজের পাশে দাঁড়িয়েছে রোহিত শর্মা বলছেন, ‘সিরাজ একটু লড়াইয়ে যেতে পছন্দ করে, এটা ওকে সাফল্য দেয়। অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার কাজ, ওর আগ্রাসনের পাশে দাঁড়ানো। তবে এক সুতোর ব্যবধানও রয়েছে। আমরা চাইনা কখনই সীমা পেরিয়ে যেতে, যাতে খেলার অসম্মান হয়। কিন্তু একটু দুটো কথা প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে, সেটা মোটেই খারাপ বিষয় নয়। অতীতেও আমরা দেখেছি অনেক ক্রিকেটারকেই এরকমই কথা কাটাকাটিতে জড়াতে, সিরাজও তাঁদের মধ্যে একজন ’।
সিরাজকে নিয়ে সতর্ক রোহিত-
তবে সিরাজ যেন লক্ষ্মণরেখা পার না করে ফেলেন সেই দায়িত্বও বর্তায় অধিনায়কের ওপরই। তাই তো রোহিত শর্মা বলছেন, ‘আগ্রাসী হওয়া আর সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে একটা সামান্য সুতোর ব্যবধান রয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যে আমরা সেই সীমাটা অতিক্রম করে না যায়। কিন্তু একটা দুটো কথা, এখানে ওখানে, সেটা খুব বেশি পার্থক্য করে না খেলায় ’।
আরসিবির দুই প্রাক্তনী বিতর্ক মেটালেন-
প্রসঙ্গত সিরাজের ফিল্ডিংয়ের সময় থেকে সিরাজ ব্যাট করতে নামা পর্যন্ত এক টানা দর্শকদের বু অর্থাৎ কটুক্তি শুনতে হয় তাঁকে। এরপর ১১ নম্বরে ব্যাট করতে এসে সিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ট্র্যাভিস হেডকে। সেখানে সিরাজকে বলতে শোনা যায়, ‘নাথিং পার্সোনাল(অর্থাৎ তোমার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও ঝামেলা নয়) ’। কাকতালীয়ভাবে এরপর সিরাজের ক্যাচটাও নেন সেই হেডই, যিনি অতীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলতেন, যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আগের আইপিএল পর্যন্ত সিরাজও খেলেছে।