দেশের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই সোনার ছেলেদের এক মূহূ্র্তের জন্য আলাদা হতে দেয়নি ভারতের ক্রিকেটভক্তরা। যেখানেই রোহিত,হার্দিকরা গেছেন সেখানেই তাঁদের পিছু নিয়েছেন ভক্তরা। হোটেলে কেক কাটা হোক বা রোহিতদের আমন্ত্রণ জানানো, বিমানবন্দর থেকে ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়াম যেখানেই গেছেন বীরের সম্মান পেয়েছে হিটম্যানের দল। এক মানুষের আবেগ ভালোবাসা দেখে ক্রিকেটাররাও চোখের জল আটকাতে পারেননি ওয়েঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামে। বিরাট থেকে হার্দিক, চোখ ছল ছল করেছে অনেকেরই। রাহুল দ্রাবিড়ের শেষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। রোহিত শর্মারও সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ ছিল এটাই। পুরো বিষয়টাই এখন তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন হিটম্যান। সবে শুরু! বহুদিন এই স্মৃতি নিয়েই বাঁচতে চান রোহিত। বিসিসিআই টিভিকে জানালেন মুম্বইয়ে মানুষের এই ঢল দেখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ে বিজয়মিছিল দেখে তারিফ আফগান নাইট তারকার, বললেন মেসিদের টেক্কা রোহিতদের
বিসিসিআই টিভির সঙ্গে নিজের বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা এবং মুম্বইয়ে প্যারেডে মানুষের ঢল দেখে তাঁর অনূভুতির কথা জানালেন রোহিত শর্মা। হিটম্যান বলেন , ‘ ২০০৭ সালের অনূভুতি অন্যরকম ছিল, সেবার আমরা সকাল সকাল প্যারেড শুরু করেছিলাম, এবার আমরা বিকেলে করছি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জয় আমি ভুলতে পারিনি কারণ সেটা আমার প্রথম ছিল। কিন্তু এবারের অনূভুতিটা একটু আলাদা, কারণ আমি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি, এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। পুরো পাগলামি হতে চলেছে’। এরপর বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের আনন্দের মূহূর্তের এক কোল্যাজ দেওয়া হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন-মায়ের মন! অসুস্থ শরীর উপেক্ষা করেই ছেলের বিজয়যাত্রা দেখতে হাজির রোহিত জননী...
মুম্বইয়ের হয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আইপিএল, জিতেছেন এর আগে টি২০ বিশ্বকাপও। কিন্তু এমন দৃশ্য ম্যারিন ড্রাইভে এর আগে কখনও দেখেননি হিটম্যান, তাতেই আপ্লুত তিনি। টি২০ ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসর নেওয়া তারকা বলছেন, ' গোটা দেশের জন্য এই জয়ের গুরুত্ব রয়েছে সেটা এত মানুষকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি খুশি যে শুধু নিজেদের জন্য নয়, মানুষের জন্যেও আমরা কিছু করে উঠতে পেরেছি। তোমরা দেখতেই পাচ্ছ মানুষের উৎসাহ ঠিক কতটা'। বিরাট কোহলিরা এই ছবি বিস্ময়ের সঙ্গেই মোবাইলে তুলে রাখছিলেন সারাজীবনের স্মৃতি হিসেবে। সিরাজ-পন্তরাও ট্রফি নিয়ে করলে পাগলামি, যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না এত মানুষ সত্যিই তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন-রুপো, ব্রোঞ্জ পেয়েছি অলিম্পিক্সে! এবার পদকের রং বদলাব, প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিলেন সিন্ধু!
রোহিতদের আক্ষেপ অবশ্য বেড়ে যাচ্ছে আরও একটা কারণে। এত ভিড় দেখে হয়ত তাঁদের এখন মনে হচ্ছে, ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ জিততে পারলে দেশের মাটিতে হয়ত আনন্দটা দ্বিগুন হতে পারত তাঁদের এবং ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।