বহু বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়ক সচরাচর খেলেন না ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের কড়া নির্দেশের পরই রোহিত শুধু নয়, সব তারকাকেই মাঠে নামতে হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু বর্ডার গাভাসকর ট্রফির মতোই ঘরোয়া ক্রিকেটে এসেও ব্যর্থ হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসের এক অঙ্কের রানের মধ্যেই গুটিয়ে গেছিল রোহিত শর্মার ইনিংস। জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরের বিরুদ্ধে অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে দুই অঙ্কের রান পান রোহিত, তবে সেটাও বলার মতো নয়, মানে ওই ২৮ রান। যদিও রোহিতের ব্যাটে রান থাকুক বা না থাকুক, তাঁর ফ্যান ফলোয়িংয়ে যে এক্কেবারেই ভাটা পড়েনি, সেটাই বোঝা গেল এদিন।
ভক্তকে বাঁচাতে চাইলেন রোহিত
তৃতীয় দিনে খেলা চলাকালীন রোহিত শর্মার এক ফ্যান মাঠের নিরাপত্তা বেষ্টনীকে টপকে রোহিতের কাছে চলে আসে তাঁর সঙ্গে হাত মেলাবেন বলে। মূহূর্তের মধ্যেই সেই ভক্তকে ধরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। এমন ভিভিআইপি ক্রিকেটারের কাছে যাওয়ার শাস্তিও পেতে হত সেই ভক্তকে। রোহিত বুঝতে পারছিলেন সেই ভক্তকে হয়ত সহজে ছাড়বে না নিরাপত্তরাক্ষীরা, তাই তাঁকে ধরে নেন রোহিত।
রোহিতের মতো ফ্লপ যশস্বীও
রোহিত শর্মা সেই ভক্তের কাধে হাত দেন, এবং নিরাপত্তাকর্মিদেরও বলেন যাতে খারাপ ব্যবহার না করে সেই ভক্তের সঙ্গে। আসলে এমসিএ গ্রাউন্ডে স্রেফ রোহিত শর্মা নন, যশস্বী জসওয়ালের মতো আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামা তারকা ক্রিকেটাররাও খেলছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁদের পারফরমেন্স তেমন ভালো ছিল না। জসওয়ালও দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন মাত্র ৩০ রান।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুম্বইকে হারাল জে-কে
শেষ পর্যন্ত মুম্বই দল রঞ্জি ট্রফির এই ম্যাচ হেরে যায় জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে এর আগে মুম্বইকে হারিয়েছিল জে অ্যান্ড কে। এবার ফের রাহানে, শ্রেয়সদের ব্যর্থতার সুযোগে তাঁদের ঘরের মাঠে এসেই হারিয়ে দিয়ে চলে গেল পরস দোগরার দল। ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করেন উমর নাজির।
খাদের কিনারায় মুম্বই-
এই ম্যাচ হারের পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই বেশ চাপে পড়ে গেল। কারণ পরের ম্যাচ বরোদার সঙ্গে রয়েছে জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরের। সেই ম্যাচে বরোদা যদি প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে নেয় তাহলে তাঁদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩০। আর ম্যাচ ড্র হলে জম্মু কাশ্মীরের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩০। ফলে দুই দলই পরের রাউন্ডে চলে যাবে আর রঞ্জি থেকে বিদায় হয়ে যাবে রাহানে, শার্দুলদের।