সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৩০ রান তাড়া করে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয় ভারত। প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ টাই হয়। এবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচেও শ্রীলঙ্কাকে নাগালের মধ্যে বেঁধে রাখে টিম ইন্ডিয়া। তবে এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিয়ে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে ভারত। এক্ষেত্রে জেফ্রি বন্দরসের স্পিন জালে জড়িয়ে যান বিরাট কোহলিরা।
রবিবার কলম্বোয় টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় শ্রীলঙ্কার। যেহেতু পিচে শেষ ইনিংসে ব্যাট করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাই টস জিতে শ্রীলঙ্কা দলনায়ক চরিথ আসালঙ্কা ভারতকে রান তাড়া করার আমন্ত্রণ জানাতে দু'বার ভাবেননি। শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪০ রান করে সংগ্রহ করেন আবিস্কা ফার্নান্ডো ও কামিন্দু মেন্ডিস। আবিষ্কা ৬২ বলের ইনিংসে ৫টি চার মারেন। কামিন্দু ৪৪ বলের ইনিংসে ৪টি চার মারেন। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন দুনিথ ওয়েলালাগে। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া কুশল মেন্ডিস ৩০, সাদিরা সমরাবিক্রমে ১৪, চরিথ আসালঙ্কা ২৫, জনিথ লিয়ানাগে ১২ ও আকিলা ধনঞ্জয়া ১৫ রানের যোগদান রাখেন। ভারতের হয়ে ১০ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১০ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ সিরাজ ও অক্ষর প্যাটেল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ওপেনিং জুটিতে ৯৭ রান তুলে ফেলে। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত শর্মা। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন।
অপর ওপেনার শুভমন গিল ৪৪ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। তিনি ৩টি চার মারেন। ভারত একসময় ১ উইকেটে ১১৬ রান তুলে ফেলে। সেখান থেকে তারা ১৪৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। অর্থাৎ, ৩১ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট হারায় ভারত।
বিরাট কোহলি ১৪, শ্রেয়স আইয়ার ৭ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ১৫ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি শিবম দুবে ও লোকেশ রাহুল। অক্ষর প্যাটেল ৪৪ বলে ৪৪ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। মহম্মদ সিরাজ ৪ ও আর্শদীপ সিং ৩ রান করে আউট হন। ৭ রানে নট-আউট থাকেন কুলদীপ যাদব।
ভারত ৪২.২ ওভারে ২০৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৩২ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ লিড নেয় শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে তারা সিরিজ হারের দুশ্চিন্তা দূরে ছুঁড়ে ফেলে। কেননা শেষ ম্যাচ হারলেও সিরিজ ১-১ ড্র হতে পারে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৬টি উইকেট তুলে নেন জেফ্রি বন্দরসে। ৬.২ ওভারে ২০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন চরিথ আসলঙ্কা। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন বন্দরসে।