হার্দিক পাণ্ডিয়ার জীবনের সঙ্গেই সিনেমার মিল পাচ্ছেন পরিচালক রোহিত শেট্টি। বলিউডের এই পরিচালক একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা দিয়েছিলেন। তাঁর ছবি মানেই অ্যাকশনে ঠাসা। সিনেপ্রেমীরা তাঁর ছবি দেখতে বেশ পছন্দই করেন। সেই রোহিত শেট্টিই বলছেন হার্দিক পাণ্ডিয়ার জীবনে গত একটা বছর কেটেছে একেবারে রিল লাইফের মতো। যা টিভির পর্দায় দেখা যায়, তাই যেন ঘটেছে রিয়েল লাইফে।
আরও পড়ুন-অজিভূমে যাওয়ার আগেই স্লেজিং শুরু, খারাপ ফর্ম নিয়ে বিরাটকে মারাত্মক খোঁটা দিলেন পন্টিং
গত ১ বছর হার্দিকের জীবন যেন সিনেমা-
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম তারকারই নাম হার্দিক পাণ্ডিয়া। গত একবছরে জীবন দিয়ে অনেক চড়াই উৎরাই গেছে হার্দিকের। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া থেকে শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব করতে গিয়ে কটুক্তির মধ্যে পড়া। সময়টা খারাপই যাচ্ছিল হার্দিকের। এরই মধ্যে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে হিরো হয়ে যান হার্দিক
ওয়াঙ্খেড়ে বিদ্রুপের শিকার হন হার্দিক-
ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামে এপ্রিল-মে মাসে টানা দর্শক বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। গুজরাট টাইটানস ছেড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব নেওয়ায়, রোহিত অনুগামিরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ফলে মাঠে প্রায় রোজই কটাক্ষ শুনতে হত হার্দিককে। এরই মধ্যে অবশ্য টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিন উইকেট নিয়ে দেশকে জিতিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।
আরও পড়ুন-ODI ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গিয়েছে! অথচ নিজেই জানতেন না! অবাক করা গল্প বললেন পাক ক্রিকেটার!
মুম্বইতে ফিরতেই রাজকীয় অভ্যর্থনা পান হার্দিক-
মুম্বইতে পা রাখার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে ছিল সমর্থকদের ভিড়। যে স্টেডিয়ামে কদিন আগে পর্যন্ত সমর্থকরা তাঁকে দেখতেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতেন, তাঁরাই রাজার মতো আপ্যায়ন করেন পাণ্ডিয়া। আর এই প্রত্যাবর্তনকেই ছবিতে হিরোর কামব্যাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন জনপ্রীয় ছবি পরিচালক রোহিত শেট্টি। সম্প্রতি তিনি এক পডকাস্টে গেছিলেন।
আরও পড়ুন-'আমাদের দেশে আসছে না তো, আমরাও আর ভালো ব্যবহার…'! BCCIকে চরম বার্তা পাকিস্তানের…
হার্দিকের জীবন পুরো সিনেমা-
সেখানে গিয়ে রোহিত শেট্টি বলেন, ‘হার্দিকের শেষ ১ বছর ছিল অনেকটা সিনেমাটিক। ওকে বু করা হয়েছে, ট্রোল করা হয়েছে। এরপর একটা সময় আসে যখন ও বিশ্বকাপ জেতে। এরপর হার্দিকের নাম যখন আসে, তখন লোকেরা চিয়ার করছিল। গত ১ বছর ওর জীবনে সিনেমার মতোই গেছে। একটা চরিত্র হয়না, যার পরাজয় হয় প্রথমে। এমনই অবস্থা হয় যে স্টেডিয়ামের ১০-২০ হাজার লোক অপমান করে, এরপর ওই স্টেডিয়ামেই যখন সেই হিরো ফিরে আসে, তাঁরাই ওকে চিয়ার করে, কেঁদে ফেলে। এটি পুরো সিনেমা’।