জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচটি ছিল নিছক নিয়ম রক্ষার। তবে ব্যাট-বলের ধুমধাড়াক্কা লড়াই যারপরনাই আপ্লুত করে ক্রিকেটপ্রেমীদের। পাকিস্তান তৃতীয় ম্যাচও জিতে চুনকাম করে প্রোটিয়াদের। সেই নিরিখে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হয়ে হতাশার নতুন অধ্যায় রচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ব্যাট-বলের লড়াই ছাড়াও জো'বার্গের এই ম্যাচ আলাদাভাবে স্মরণীয় হয়ে যাকবে অন্য কারণে। কেননা এই ম্যাচ চলাকালীন ওয়ান্ডারার্সের গ্যালারি ও মেডিক্যাল সেন্টারে এমন ২টি ঘটনা ঘটে, যা একেবারে নজিরবিহীন নয়, তবে চমকপ্রদ সন্দেহ নেই।
আসলে রবিবার জোহানেসবার্গের ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকে একটি রোমান্টিক প্রপোজাল ও নবজাতকের ভূমিষ্ঠ হওয়ার। ম্যাচের মাঝেই স্কোরবোর্ডে সুখবর দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের মেডিক্যাল সেন্টারে এক শিশু সন্তানের জন্মের। পুত্র সন্তানের জন্মের পরে অভিনন্দন জানানো হয় রাবেং দম্পতিকে।
এরই পাশাপাশি এক যুগলের এনগেজড হওয়ার ছবিও দেখা যায় ওয়ান্ডারার্সে। এক যুবকের হাঁটু গেড়ে বসে প্রেয়সীকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেখা যায় স্টেডিয়াম চত্ত্বরেই। বলা বাহুল্য, প্রস্তাবে সানন্দে সম্মত হতে দেখা যায় তাঁর সঙ্গিনীকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচের ফলাফল
জো'বার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভার প্রতি ইনিংসে। সইম আয়ুবের সেঞ্চুরি এবং বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে।
ওপেন করতে নেমে সইম আয়ুব ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। তিনি ৭টি চার মারেন। ৫২ বলে ৫৩ রান করেন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। তবে প্রোটিয়া দল ৪২ ওভারে ২৭১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ফলে ডি-এল মেথডে ৩৬ রানে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। সেই সুবাদে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে প্রোটিয়াদের চুনকাম করেন মহম্মদ রিজওয়ানরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এনরিখ ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। পাকিস্তানের হয়ে ৫২ রানে ৪ উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন সইম আয়ুব।