ফিল্ডার হিসেবে কতটা দক্ষ, রোভম্যান পাওয়েল সেটা আগেই বুঝিয়েছেন। সেই কারণেই চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস শুধুমাত্র ফিল্ডার হিসেবে একাধিক ম্যাচে তাঁকে ব্যবহার করেছে। যদিও বুধবার আমদাবাদে আরসিবির বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৪-এর এলিমিনেটরে পাওয়েলকে প্রথম একাদশে জায়গা করে দেয় রাজস্থান। এই ম্যাচে তিনি ফের একবার নিজের ফিল্ডিং দক্ষতার চূড়ান্ত নমুনা পেশ করেন।
আমদাবাদে টস জিতে আরসিবিকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান রয়্যালস। বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে যথারীতি ওপেন করতে নামেন ক্যাপ্টেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। রাজস্থান নতুন বলে পিচের উভয় প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে আনে ট্রেন্ট বোল্ট ও সন্দীপ শর্মাকে।
প্রথম ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট কোহলি ও ডু'প্লেসিকে যারপরনাই বিব্রত করেন। প্রথম ওভারে মোটে ২ রান ওঠে। তাও এক রান আসে লেগ-বাই হিসেবে। বোল্টের ইয়র্কারে ধরাশায়ী হন ফ্যাফ। দ্বিতীয় ওভারে সন্দীপ শর্মার বলে ১টি চার মারেন বিরাট কোহলি এবং একটি ছক্কা মারেন ফ্যাফ। দ্বিতীয় ওভারে ১২ রান ওঠে।
তৃতীয় ওভারে পুনরায় বল করতে আসেন বোল্ট। আরসিবির দুই ওপেনার মোটেও স্বস্তিতে ছিলেন না বোল্টের সামনে। তৃতীয় ওভারে মোটে ৩ রান ওঠে। চতুর্থ ওভারে বল করতে আসেন আবেশ খান। তাঁর ওভারে ১টি ছক্কা মারেন কোহলি এবং ২টি চার মারেন ডু'প্লেসি। চতুর্থ ওভারে ১৭ রান ওঠে।
বোল্টের সামনে দুই ব্যাটার স্বচ্ছন্দে নেই বুঝেই পঞ্চম ওভারে ফের কিউয়ি পেসারকে আক্রমণে আনে রাজস্থান। সাফল্য মেলে সেই ওভারেই। ৪.৪ ওভারে বোল্টের লেনথ বলে টেনে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন ডু'প্লেসি। বল ঠিকটাক কানেক্টও হয়। জোরালো শটে বল কার্যত মাঠের সমান্তরালে উড়ে যায়। ফিল্ডার না থাকলে ওয়ান বাউন্স বাউন্ডারি হতে পারত।
তবে বিচক্ষণতার পরিচয় দেন ফিল্ডার পাওয়েল। তিনি ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারি থেকে দৌড়ে এসে সামনের দিকে শরীর ছুঁড়ে দেন এবং দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় বল তালুবন্দি করেন। এমন ক্ষেত্রে ফিল্ডারদের দোলাচলতায় পড়তে দেখা যায়। ক্যাচ ধরবেন নাকি বাউন্ডারি বাঁচাবেন, এমন ভাবনায় অনেক সময় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে পাওয়েল বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে ক্যাচ ধরার জন্য মরিয়া হয়ে শরীর ছুঁড়ে দেন।
পাওয়েলের এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্যই ১৪ বলে ১৭ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে। দলগত ৩৭ রানে আরসিবির ওপেনিং জুটি ভাঙে।