সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। তাই পুরোটা ভালো-ভালোয় মিটে গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের শেষ বলের পরিণতিটা যদি একটু এদিক-ওদিক হত, তাহলে ক্রিকেটের নিয়মের বড় ফাঁকটা সামনে চলে আসতে পারে। বিষয়টা যে একপ্রস্থ বিতর্ক হত, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত বোলিং ছাপিয়ে সেটাই সম্ভবত যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠত। কারণ ম্যাচটা মাত্র এক রানে হেরে গিয়েছে রাজস্থান। কিন্তু বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঠিক কী হয়েছিল, যে কারণে ক্রিকেটের নিয়মের বড় ফাঁকটা সামনে চলে আসতে পারত?
বৃহস্পতিবার শেষ বলে জয়ের জন্য দু'রান দরকার ছিল রাজস্থানের। বল করছিলেন ভুবনেশ্বর। স্ট্রাইকে ছিলেন রোভম্যান। ভুবির ফুলটস বলটা মিডল ও লেগস্টাম্পের দিকে যেতে থাকে। বড় শট মারার চেষ্টা করেন রোভম্যান। কিন্তু মারার বলটা ফস্কে দেন। বল আছড়ে পড়ে রোভম্যানের প্যাডে। জোরালো আবেদন করেন ভুবিরা। রোভম্যানরা দৌড়ে এক রান নেওয়ার চেষ্টা করার মধ্যেই আউট দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার অনিল চৌধুরী। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সানরাইজার্সের খেলোয়াড়রা। তারইমধ্যে ডিআরএস নেন রোভম্যান। তাতে দেখা যায় যে পরিষ্কার আউট ছিলেন রাজস্থানের তারকা।
রিভিউয়ে যদি দেখা যেত যে রোভম্যান আউট হননি, তাহলেও ক্রিকেটের নিয়মের গেরোয় রাজস্থান জিততে পারত না। কারণ আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, অনফিল্ড আম্পায়ার যদি কোনও বলে আউট দিয়ে দেন, তাহলে তখন থেকে সেটা 'ডেড-বল' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং দল যদি কোনও রান নেয়, সেটা বৈধ রান হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। যদি অনফিল্ড আম্পয়ারের সিদ্ধান্ত ডিআরএসে পালটে যায়, তাহলেও কোনও রান যোগ করা হবে না বলে আইসিসির নিয়মে জানানো হয়েছে।
আইসিসির ওই নিয়ম (পরিশিষ্ট 'ডি'-তে আছে) অনুযায়ী, 'যদি খেলোয়াড়দের রিভিউয়ের আবেদনের পরে আউটের সিদ্ধান্ত যদি পালটে নট-আউট করে দেওয়া হয়, তাহলেও যখন প্রাথমিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছিল, তখন থেকেই বলটাকে ডেড বল হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে ব্যাটিং দল লাভবান হলেও সংশ্লিষ্ট বল থেকে কোনও রান পাবে না।' অর্থাৎ সোজা ভাষায় বলতে গেলে বৃহস্পতিবার রোভম্যানকে যে আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার, সেটা যদি ডিআরএসে পালটে যেত, তাহলেও কোনও রান যুক্ত হত না রাজস্থানের খাতায়। এক রানে হেরে যেত।