ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করলেও পরবর্তী ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। এবার টি-২০ সিরিজের শুরুতেই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে উত্তেজক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ এবং ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে যায়।
কিংসটাউনে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৩ রান করেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
২৭ বলে ২৭ রান করেন জাকের আলি। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৩ বলে ২৭ রান করেন শামিম হোসেন। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তানজিদ হাসান ৬, আফিফ হোসেন ৮ ও রিশাদ হোসেন অপরাজিত ২ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ ওভারে ১৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আকিল হোসেন। তিনি ১টি মেডেন ওভার নেন। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ওবেদ ম্যাককয়। এছাড়া ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন রোস্টন চেস ও রোমারিও শেফার্ড। আলজারি জোসেফ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মোটে ২৬ রান খরচ করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯.৫ ওভারে ১৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৭ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। দল হারায় ব্যর্থ হয় ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েলের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি। উল্লেখ্য, পাওয়েলকে গত আইপিএল নিলাম থেকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
পাওয়েল ৩৫ বলে ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে ২০ রান করেন জনসন চার্লস। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ২২ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ১৩ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। ১৮ রানে ২টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ২৮ রানে ২টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচের সেরা হন মেহেদি হাসান।